
রাজ্যের রাজনৈতিক আকাশে লাল সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে একদা লাল দুর্গ বর্ধমান পূর্বে আর পুরোনো ‘সেই ব্যাপারটা’ ফিরে আসেনি বাম শিবিরে। এবারেও হাওয়া যে রয়েছে, জোর দিয়ে বলতে পারছেন না অতি বড় বাম সমর্থক। কিন্তু বিনা যুদ্ধে তো তাই বলে ময়দান ছাড়া যায় না। তাই নীরবেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন নীরব।
তাপপ্রবাহ হোক বা আকাশভাঙা বৃষ্টি— কেন্দ্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত নিরলস ছুটে বেড়াচ্ছেন নীরব। প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের পদাধিকারী হওয়ার সুবাদে জেলা এবং সংলগ্ন এলাকার বহু জায়গাতেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। সেটাই তাঁর সবচেয়ে বড় ভরসা। আর বাধা? সেটা যে খুব বেশি মাত্রায় রয়েছে, অস্বীকার করতে পারছেন না দলীয় সমর্থকরা।
অতীতে, ক্ষমতায় থাকার সময়ে গ্রামবাংলায় সিপিএমের গাজোয়ারির ঘটনাগুলো এখনও সাধারণ মানুষ ভোলেনি। তাই বাম প্রার্থীর প্রচারে পুরোনো মুখগুলোকে নতুন করে দেখতে পাওয়াই বোধহয় গ্রামে গ্রামে নীরবের ভোট পাওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা। তাই শিক্ষা নিয়োগে দুর্নীতি বা সন্দেশখালির মতো সংবেদনশীল ইস্যুও যেন তাঁদের দলের থেকে শুনতে রাজি নন সাধারণ মানুষ।
এই কারণেই ভোটে জেতার চেয়েও মানুষের আস্থা অর্জনের কাজটা আরও কঠিন বলে মনে হচ্ছে ওঁদের। তাই ‘এলাকার বাসিন্দা’, ‘শিক্ষক’, ‘মাটির কাছের মানুষ’, ‘চাইলেই পাশে পাওয়া যায়’ জাতীয় বিশেষণগুলো নিছক কথার কথা হয়েই যেন থেকে যাচ্ছে। নীরব খাঁয়ের লড়াই যেন একটু বেশিই কঠিন।