আজ সকাল থেকে দৌড়ে বেড়াতে হবে নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায়। তার প্রস্তুতিও সেরে রেখেছেন। দিনের দুই অর্ধে তাঁর রুটিন ঠিক হয়ে গিয়েছে। আপাতত ঠিক হয়েছে, সকাল সাতটা নাগাদ দুর্গাপুর থেকে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। সেখান থেকে গ্রামীণ এলাকা ভাতার, মন্তেশ্বর হয়ে বর্ধমান উত্তর, দক্ষিণ হয়ে গলসি আসবেন কীর্তি৷ সব শেষে দুর্গাপুর। সব শেষে কেন দুর্গাপুর? কীর্তি বলেন, ‘দুর্গাপুর খুব ভালো জায়গা। এখানে মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন। অশান্তি হয় না। কিন্তু বর্ধমান গ্রামীণ এলাকায় বিরোধীরা গন্ডগোল পাকাতে পারে। ওই সব এলাকার মানুষ যাতে সুষ্ঠু ভাবে ভোট দিতে পারেন তার জন্য প্রথমে ভাতার, মন্তেশ্বরে যাব।’
তবে কীর্তি আজাদকে রিল্যাক্সড মুডে দেখা গেলেও দিলীপ ঘোষের রুটিনে কোনও হেরফের ঘটেনি। অন্য দিনগুলোর মতো এদিনও সকালে দুর্গাপুরে প্রাতর্ভ্রমণের পরে চা চক্রে যোগ দেন তিনি। তার পরে বিধাননগরের একটি মন্দির হয়ে তিনি যান সেক্টর টু সি ময়দানে। সেখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন দিলীপ। নিজের রুটিন সম্পর্কে দিলীপ বলেন, ‘বেলার দিকে দুর্গাপুর থেকে বর্ধমানে যাব। কয়েকটি জায়গায় টেনশন রয়েছে। দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙা করতে হবে।’ দুপুরের পরে বর্ধমানের রায়ানে নিজের বাড়িতে বিশ্রাম নেন দিলীপ।
আসানসোলে এদিন হোটেলেই কাটান এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। মাঝে একবার রাহা লেনে দলীয় অফিসে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। হোটেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিভিন্ন এলাকার নেতা-কর্মীরা। হোটেল ও পার্টি অফিসে শত্রুঘ্নর সঙ্গে ছিলেন তাঁর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট এবং আসানসোল পুরসভার চেয়ারম্যান অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। শত্রুঘ্ন জানান, আজ কয়েকটি জায়গায় ভোট দেখতে বেরোবেন তিনি।
এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া অবশ্য দিনভর ঘুরেই বেরিয়েছেন। প্রচারের সময়ে পৌঁছতে পারেননি এমন এলাকায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি। গিয়েছিলেন বরাকরে। তার পর কুলটির মন্দিরে পুজো দেন। আসানসোলে পার্টি অফিসেও কিছুক্ষণ ছিলেন। ওখান থেকে জামুড়িয়া, অন্ডাল হয়ে পাণ্ডবেশ্বরে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। জানান, টানা প্রচারের পরেও আলাদা করে এদিন বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশ তাঁর ছিল না।
বাম প্রার্থী জাহানারা খানও দলের একাধিক অফিসে গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। শুরু করেছিলেন খাস কেন্দা দলীয় অফিস থেকে। তার পর জামুড়িয়া হয়ে রানিগঞ্জের জেলা পার্টি দপ্তরে দীর্ঘ সময় কাটান। রানিগঞ্জের জেলা অফিসে বসে দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকার এদিন বাড়িতেই সময় কাটান। বাড়ি থেকেই বুথকর্মী ও জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ রাখেন। জানান, কোথাও সমস্যা হলে তার মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্য দিকে, এদিন সকালের দিকে বাড়িতেই সময় কাটিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী সুকৃতি। বেলায় পার্টি অফিসে গিয়ে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। দীর্ঘ প্রচারে তাঁর সঙ্গীদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে খোঁজ নেন। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারও দিনভর যোগাযোগ রাখেন দলের কর্মীদের সঙ্গে।