সেই সময় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মনোনয়নের জন্য একটি শোভাযাত্রা সেখান দিয়ে যায় এবং মুহূর্তে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তমলুক থানায় প্রাক্তন এই বিচারপতি এবং অধুনা বিজেপি নেতার নামে দায়ের করা হয়েছে এফআইআর। এর মধ্যে যুক্ত করা হয়েছে ৩০৭ নম্বর ধারাও। এবার তা খারিজের আবেদন জানিয়ে আদালতের দারস্ত প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি পুলিশি অতিস্বক্রিয়তার অভিযোগ তাঁর আইনজীবীর। ইতিমধ্যেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলাটির সম্ভাব্য শুনানি।
উল্লেখ্য, এফআইআর-এর কথা শুনে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে বলেছিলেন, ‘অভিযোগ করেছে করুক। এই ধরনের মিথ্যা মামলা হয়ে থাকে। যারা এই ধরনের কাজ করছে তারা এই ধরনের মামলার হাত থেকে কতদিন বাঁচে তা দেখব।’ এবার এই মামলা নিয়ে তিনি দ্বারস্থ হয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের। শীর্ষ আদালত কি প্রাক্তন এই বিচারপতিকে স্বস্তি দেবে? এখন সব নজর সেই দিকেই।
প্রসঙ্গত, বিচারপতি পদে থাকাকালীন তাঁর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় নির্দেশ নিয়ে বিস্তর চর্চা চলেছে। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হোক বা ‘ঢাকি সমেত বিসর্জন দিয়ে দেব’-র মতো মন্তব্য, ব্যাপক চর্চা হয়েছে।
তিনি বিচারপতি পদে আসীন থাকাকালীন রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাত দুষ্ট আচরণ করেছেন, এই অভিযোগ এসেছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের থেকেও। যদিও তা উড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিজিৎ। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তিনি বিচারপতি আসন ছেড়ে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন এবং যোগ দেন বিজেপিতে। এরপরেই তাঁকে তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী করে গেরুয়া শিবির।