উল্লেখ্য, রাজ্যে তৃণমূল যে সিপিএম বা কংগ্রেসের সঙ্গে নেই সেই কথা এর আগেও বারবারে বলতে শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একইসঙ্গে ভোটের পর দিল্লিতে তৃণমূল যা করার করবে বলেও আগেই জানিয়েছেন মমতা। সেক্ষেত্রে এদিন কি নিজেদের অবস্থান আরও কিছুটা স্পষ্ট করলেন তৃণমূল নেত্রী? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরে খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিকমহলের একাংশে।
ফের আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
এদিনের সভা থেকে বিজেপির বিজ্ঞাপন নিয়ে ফের একবার সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রীর কটাক্ষ, ‘১০০ দিনের কাজে ৩ বছর টাকা দেয়নি, বলে টাকা নেই। আর এত বিজ্ঞাপন দেওয়ার টাকা কোথা থেকে এল? আমরা তো পালটা বিজ্ঞাপন দিতে পারছি না! আমরা কোর্টে রিট পিটিশন ফাইল করছি। প্রচারকের নাম ছাড়া, প্রকাশের নাম ছাড়া যা ইচ্ছা তাই বিজ্ঞাপন দিতে পারো না!’
কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে মোদীকে নিশানা
আয়ুষ্মান ভারত নিয়েও এদিন কেন্দ্র তথা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘মোদীবাবু বলছেন ৭০ বছরের পর চিকিৎসা দেব। আপনার নিজের বয়স কত হয়েছে, একবার দেখেছেন? আর ভোটের সময় এই কথা কেন বলছেন? আগে বলেননি কেন? আমরা যা করেছি, আগে করেছি। নির্বাচনের সময় বললে সেটা আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘন হয়। মোদীবাবু আপনি আদর্শ আচরণ বিধি ভাঙছেন। আর নির্বাচন কমিশন একটা কলের পুতুল, বসে আছে। মোদী ঘোরাচ্ছেন, ওরা ঘুরছে।’