সেখানে দাঁড়িয়ে জনসংযোগও করেন মমতা। পদযাত্রায় তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী অরূপ রায় ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি। বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য বক্স রেডি করা ছিল। সেখানে তৃণমূলের থিম সং বাজানো হয়। মহিলারা ফুল ছুড়ে, শাঁখ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
তবে জেলার দুই মন্ত্রী অরূপ রায়, মনোজ তিওয়ারি এবং হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে এ দিন মমতার থেকে অনেকটা দূরে দূরেই হাঁটতে দেখা গেল। মমতা অবশ্য পদযাত্রার মাঝেই জেলার মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী হাওড়ার ইছাপুরে জলট্যাঙ্কের মোড়ে পৌঁছতেই জয় বাংলা ধ্বনি ওঠে। যদিও হাওড়া ময়দান পর্যন্ত মানুষের যোগদান কিছুটা কম মনে হলেও পদযাত্রা যত উত্তর হাওড়ার দিকে এগিয়েছে তত মানুষের ভিড় বেড়েছে।
পদযাত্রা শেষ হয় সালকিয়া চৌরাস্তার কাছে। অন্যদিকে, বুধবার চুঁচুড়া মাঠে দলীয় প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিড় উপচে পড়ে সেই মাঠে। গরমে মহিলাদের কষ্ট দেখে মঞ্চ থেকে মমতা পুলিশকে নিরাপত্তার বেষ্টনী খুলে দিতে বলেন। পুলিশ বেষ্টনী সরাতেই পিল পিল করে মহিলারা একদম মুখ্যমন্ত্রীর সামনের ঘেরাটোপে চলে আসেন। নাগালে পেয়ে মহিলারা মোবাইলে মমতার ছবি তুলতে থাকেন।
‘নেহি হোগা দুশো পার। ইস বার পগার পার’, হুগলি শিল্পাঞ্চলের অবাঙালিদের মন পেতে এ ভাবে সভা মঞ্চ থেকে বক্তব্যের মাঝে মাঝে হিন্দিতে টুকরো টুকরো কথা বলে সভা জমিয়ে দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে অবাঙালিরা থাকেন। আমরা তাদের সম্মান দিই। মোদী কী করছেন? মছলি কিঁউ খাতা হ্যায়, মাংস কিঁউ খাতা হ্যায়, ডিম কিঁউ খাতা হ্যায় বলে নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। আমরা কিন্তু এখানে ধোকলা, ধোসা, চাপাটি, গুড় বন্ধ করিনি।’