এই সময়, পানিহাটি: অনুপম হত্যা-মামলায় বিজেপিকেই কাঠগড়ায় তুলেছিল তৃণমূল। এখন লোকসভা ভোটের দোরগোড়ায় সেই অনুপম হত্যা-মামলা নিয়ে শাসক দলকে বিঁধছে বিজেপি। গেরুয়া শিবির প্রচার করছে, অনুপম হত্যায় বিজেপির যোগ নেই লোকে জানে। তা বুঝেই এ নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করছে না তৃণমূল।পাল্টা তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএম-বিজেপি বরাবর খুনের রাজনীতি করে। সময় মতো অনুপমের খুনের প্রসঙ্গও প্রচারে আনা হবে। উল্লেখ্য, পানিহাটি পুরসভার আগরপাড়া দমদম লোকসভার মধ্যে পড়ে। ২০২২ সালের ১৩ মার্চ সন্ধেয় বাড়ির অদূরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছিলেন পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলার অনুপম দত্ত। তদন্তে পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তিন জনই এখন জেলবন্দি। ধৃতদের মধ্যে বাপি পণ্ডিত বিজেপির কর্মী বলে সেই সময়ে সরব হয়েছিল তৃণমূল।
এখন লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপি শিবিরের প্রশ্ন, যদি সত্যিই অনুপমের হত্যার পিছনে বিজেপির হাত থাকত তা হলে কি তৃণমূল এখন তা ইস্যু করত না? পদ্ম-শিবিরের দাবি, সেক্ষেত্রে তৃণমূল সব জায়গায় মাইক লাগিয়ে প্রচার করত পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলারকে বিজেপি খুন করিয়েছে। অথচ তৃণমূল এ নিয়ে স্পিকটি নট! না বলছেন বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের প্রার্থী সৌগত রায়, না বলছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, না পুরপ্রধান বা অন্য কেউ।
এখন লোকসভা ভোটের মুখে বিজেপি শিবিরের প্রশ্ন, যদি সত্যিই অনুপমের হত্যার পিছনে বিজেপির হাত থাকত তা হলে কি তৃণমূল এখন তা ইস্যু করত না? পদ্ম-শিবিরের দাবি, সেক্ষেত্রে তৃণমূল সব জায়গায় মাইক লাগিয়ে প্রচার করত পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলারকে বিজেপি খুন করিয়েছে। অথচ তৃণমূল এ নিয়ে স্পিকটি নট! না বলছেন বিদায়ী সাংসদ তথা তৃণমূলের প্রার্থী সৌগত রায়, না বলছেন পানিহাটির বিধায়ক নির্মল ঘোষ, না পুরপ্রধান বা অন্য কেউ।
বিজেপি নেতা কৌশিক চট্টোপাধ্যায় ফেসবুকে এক ভিডিয়োয় বলেন, ‘তৃণমূল জানে মানুষ তাদের অভিযোগ বিশ্বাস করে না। তাই আমরা বলছি অনুপমের প্রকৃত খুনি ধরা পড়ুক।’ কারা খুনিকে পাঠিয়েছিল, কারা আর্থিক ভাবে মদত দিয়েছিল, কারা পুলিশি সহায়তা দিয়েছে, কারা তাদের বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সে প্রশ্ন তোলেন কৌশিক।
এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী দত্ত। যিনি বর্তমানে পানিহাটির তৃণমূলের একজন কাউন্সিলার। পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘আমরা বলছি বিজেপি-সিপিএম খুনের মাস্টার। চারিদিকে খুন-সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। তার মধ্যে একটা নাম নিয়ে আলাদা কী আর বলব? তবে কেস চলছে। আমরা কেস চালাচ্ছি। শাস্তি আমরা দেবই। যখন অনুপমের ওয়ার্ডে মিটিং করব তখন নিশ্চয়ই ওঁর কথা আমরা বলব।’