রণজয় সিংহ: মালদায় আমের ফলন নেই। যৎসামান্য উৎপাদন হয়েছে এবার। এর উপর চোখ রাঙাচ্ছে রিমাল। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা বলছে, রবিবার থেকেই ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব পড়বে মালদা-সহ গোটা উত্তরবঙ্গে। তাই যৎসামান্য আমের ফলন বাঁচাতে ব্যস্ত আমচাষিরা। তড়িঘড়ি না-পাকা আম পেড়ে নিচ্ছেন চাষিরা। মালদায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে এই ঝড়।
আরও পড়ুন: Cyclone Remal Update: রিমাল আছড়ে পড়বে আজ রাতেই, বন্ধ থাকছে ট্রেন-প্লেন! আপনিও তৈরি থাকুন…
আবহাওয়া দফতরের এমন পূর্বাভাসে দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়ে গিয়েছে মালদার আমচাষিদের। এবছর এমনিতেই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা এবং প্রচণ্ড দাবদহের কারণে ফলন কম হয়েছে আমের। এর উপরে গোদের উপর বিষফোড়া এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে আমের। তাই আম পরিপক্ক হওয়ার আগেই আম পাড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে মালদার বাগানগুলিতে।
আম ব্যবসায়ী এবং আম চাষিরা জানান, ঘূর্ণিঝড় হলে আমের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। গোপালভোগ ছাড়া লক্ষণভোগ, ল্য়াংড়া-সহ বিভিন্ন প্রজাতির আম পরিপক্ক হতে এখনও বাকি প্রায় এক মাস। কিন্তু কিছু করার নেই। ঝড়ে গাছ থেকে আম নীচে পড়ে গেলে সেই আম বিক্রি করা মুশকিল। তাই ঝড় শুরু হওয়ার আগেই আম পাড়তে শুরু করেছেন তাঁরা।
তবে, প্রশ্ন উঠছে, বাজারে এই আম এলে খেতে পারবেন তো খাদ্যপ্রিয় বাঙালি? এই বিষয়ে মালদা ম্যাঙ্গো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা জানান, এবছর এমনিতেই আম হয়নি। ৫০ শতাংশ আম রয়েছে গাছগুলিতে। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের জেলা ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের আতঙ্কে অপরিপক্ক আম ভাঙতে শুরু করেছেন চাষিরা। এই অপরিপক্ক আম ভাঙলে আমের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাবে। মানুষ এই আম খেতে পারবেন না। মালদার আমের যে-খ্যাতি ও যে-সুনাম তা নষ্ট হবে। একদিকে গাছে পর্যাপ্ত আম নেই, ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তা। অন্য দিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চরম সংকটে মালদা জেলার কমবেশি ১৫ ব্লকের আমচাষি এবং ব্যবসায়ীরা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)