দক্ষিণ ২৪ পরগনার সমস্ত লোকসভা কেন্দ্রে ১ জুন ভোট। এরই মধ্যে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলার অন্যতম দাপুটে নেতা শওকত মোল্লাকে তলব করল CBI। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজাম প্যালেসে ডাকে CBI। কিন্তু, সূত্রের খবর, তিনি তলবে সাড়া দিচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার থেকে সময় চেয়েছেন তিনি। এদিকে পুরোটাই ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’, দাবি স্বয়ং শওকতের।জয়নগর, যাদবপুর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ড হারবার-এই চার কেন্দ্রে নির্বাচনের জন্য হাতে গোনা কয়েকদিন বাকি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কয়লা পাচার মামলায় শওকত মোল্লাকে তলব করে CBI। বুধবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। যদিও তিনি সময় চেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা অবশ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি করেছেন। দুয়ারে যখন নির্বাচন সেই সময় এই তলব সহজ চোখে দেখছেন না তিনি। এই দুঁদে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক আচরণ।’ এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শওকত একজন দক্ষ সংগঠক। এই দফার প্রতিটি আসন তৃণমূল দখল করবে এবং শওকত মোল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট দাবি, ইডি, সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলি আইনি পদ্ধতিতে তদন্ত করে। আইন আইনের পথে চলবে। এখানে এই সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন।
এই প্রসঙ্গে শওকত মোল্লা অবশ্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসার দাবি করেছেন। দুয়ারে যখন নির্বাচন সেই সময় এই তলব সহজ চোখে দেখছেন না তিনি। এই দুঁদে তৃণমূল নেতা বলেন, ‘এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের চক্রান্ত। এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা মূলক আচরণ।’ এলাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, শওকত একজন দক্ষ সংগঠক। এই দফার প্রতিটি আসন তৃণমূল দখল করবে এবং শওকত মোল্লা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও বিজেপি নেতাদের স্পষ্ট দাবি, ইডি, সিবিআই-এর মতো সংস্থাগুলি আইনি পদ্ধতিতে তদন্ত করে। আইন আইনের পথে চলবে। এখানে এই সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন।
উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে তলব করা হয়েছিল শওকত মোল্লাকে। ২০২২ সালে জুন মাসে তিনি সিবিআই দফতরে হাজির হন। এরপর প্রায় দুই বছর পর তাঁকে ফের তলব করা হল। বুধবার বারুইপুর পূর্বে জনসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই নেতার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘বেচারা শওকতকে মাঝরাতে নোটিশ দিয়েছে। বলেছে কাল এসে দেখা কর। এ কি জমিদারি নাকি? এই সময় ভোট করাবে নাকি দেখা করতে যাবে!’
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার ‘এজেন্সি রাজনীতি’-র অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। একই সুর শোনা গিয়েছিল বিজেপি বিরোধী একাধিক নেতার কণ্ঠে। যদিও যাবতীয় দাবি খারিজ করে দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। রাজ্যে শেষ দফার নির্বাচন দোর গোড়ায়। তার আগে শওকত মোল্লাকে তলব করা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।