কীভাবে জানা গেল সত্য?
আজতক প্রথমে ভাইরাল নিউজ কার্ডটির সত্যতা জানতে সেই সংক্রান্ত একাধিক কি ওয়ার্ড সার্চ করে, ও জানার চেষ্টা করে ওই চ্যানেলের তরফে এমন কোনও নিউজ কার্ড প্রকাশ করা হয়েছে কি না। কিন্তু তেমন কোনও তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা থেকে প্রমাণ হয় ভাইরাল নিউজ কার্ডটি ওই চ্যানেলের তরফেই প্রকাশ করা হয়েছে। বরং আজতক ওই চ্যানেলেরই অফিশিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে অন্য একাধিক নিউজ কার্ড দেখতে পায়। সেগুলির সঙ্গে ভাইরাল নিউজ কার্ডটিকে পাশাপাশি রেখে তুলনা করলে দুটির ফন্টের মধ্যে কিছুটা পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এর থেকে আজতক অনুমান করে যে ভাইরাল নিউজ কার্ডটি ভুয়ো হলেও হতে পারে।
ভাইরাল পোস্টের স্ক্রিনশট
তবে এই বিষয়ে আজতক তখনই ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়ে যায়, যখন কি ওয়ার্ড সার্চের সময় ওই চ্যানেলের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেখতে পায় ও যেখানে এই সংবাদমাধ্যমের তরফে ভাইরাল নিউজ কার্ডটিকে ভুয়ো হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে ওই ভাইরাল কার্ডটি ভুয়ো। কিন্তু তারপর আজতক জানার চেষ্টা করে আদৌ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি সিপিএম-কে ভোট না দিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিতে বলেছেন কি না। কিন্তু আজতক তেমন কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্য বা প্রতিবেদন খুঁজে পায়নি যা থেকে প্রমাণ হয় যে, সম্প্রতি নরেন্দ্র মোদী এহেন মন্তব্য করেছেন। পক্ষান্তরে এমন একাধিক সংবাদ প্রতিবেদন দেখা যায় যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একযোগে তৃণমূল ও সিপিএম-কে আক্রমণ করেছেন। এর থেকেই আজতক এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে ভাইরাল নিউজ কার্ডটি ভুয়ো এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এমন কোনও মন্তব্য করেননি।
(This story was originally published by Aaj Tak and translated and edited by Ei Samay Digital as part of the Shakti Collective)
