Water Crisis,পানীয় জলের সঙ্কট! বিক্ষোভে জেরবার শিলিগুড়ি – cpim blocked mayors car and protested on siliguri water crisis issue


এই সময়, শিলিগুড়ি: পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে বিক্ষোভের জেরে তেতে উঠল শিলিগুড়ি। বৃহস্পতিবার পুরসভার বিরুদ্ধে পথে নামে বামেরা। মেয়র গৌতম দেবের গাড়ি আটকে ‘চোর চোর’ স্লোগানও দেওয়া হয়। পরিশ্রুত পানীয় জলের দাবিতে এ দিন শিলিগুড়ি পুরনিগমের সামনে সিপিএমের প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখায় বামেরা। পুরসভার সামনে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের কার্যত হাতাহাতির উপক্রম হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দূষণ মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় বুধবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব শহরের বাসিন্দাদের ২ জুন পর্যন্ত পুরসভার সরবরাহ করা জল খেতে নিষেধ করেন। মেয়রের ওই ঘোষণার পরে শহর জুড়ে পানীয় জল জোগাড়ের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। পুরসভার সরবরাহ করা জলের পাউচ থেকে বেসরকারি সংস্থার জলের বোতল সংগ্রহের জন্য লাইন পড়ে গিয়েছে।প্রায় দশ লক্ষাধিক মানুষ এই শহরে বসবাস করেন। পুরসভার জলই বাসিন্দাদের একমাত্র পানের উৎস। বাসিন্দাদের জল নিয়ে এই উদ্বেগকে কাজে লাগিয়ে এ দিন পথে নামে বাম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বামেদের পাশাপাশি বিক্ষোভ দেখান এসইউসির কর্মীরাও। বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে কুয়োর জল কী ভাবে ফুটিয়ে খাওয়া যেতে পারে, সেই ব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শহরের আর এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিলিগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশনের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে নদী থেকে বালিপাথর তোলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সিপিএমের যুক্তি, নিজেদের গাফিলতি ঢাকতে পুর কর্তৃপক্ষ এখন নানা অজুহাত খাড়া করছেন। সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরসভা জল না-দিতে পারলে মানুষকে কিনে খেতে হবে। জল নিয়ে কালোবাজারি শুরু হবে। আগেই এসব ভেবে পুরসভার পদক্ষেপ করা উচিত ছিল।’ মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘আচমকাই একটা অভূতপূর্ব পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সেই কারণেই নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে। রাজনীতি না-করে সকলে মিলেই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।’ এদিনই শহরের মেয়র পিএইচই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শহরের সর্বত্র যাতে জলের ট্যাঙ্ক এবং পাউচ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়, সেই ব্যাপারে নির্দেশ দেন।
শিলিগুড়িতে জল কিনতে লম্বা লাইন, সংকট মোকাবিলায় পাউচ বিতরণ পুরসভার
এদিন শহরের হাকিমপাড়া, আশ্রমপাড়া, দেশবন্ধুপাড়া সহ নানা এলাকাতেই দেখা গিয়েছে, জলের জন্য মানুষের লম্বা লাইন। হাকিমাপাড়ার এক বাসিন্দা মনোজিৎ দাস বলেন, ‘কিনেই বা কত জল খাব? তবে পুরসভা থেকে ট্যাঙ্কারে করে জল দেওয়া হচ্ছে। জলের লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে।’ জল নিয়ে শহরের এই হাহাকারের সুযোগ নিয়েছে বেসরকারি জল বিক্রেতারা। পাঁচ লিটারের জলের বোতল দেদার বিকোচ্ছে শহরে। দেশবন্ধু পাড়ার এক দোকানদার বলেন, ‘আগে পাঁচ লিটারের বোতল দিনে বড় জোর চার থেকে পাঁচটা বিক্রি হতো। আজ দুপুরের মধ্যে সতেরোটা বিক্রি করেছি।’ পিএইচই আধিকারিকদের দাবি, জলের এই সঙ্কট সাময়িক। দ্রুত কেটে যাবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *