Aam Panna,গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ‘কুল’ শরবত, লক্ষ্মী লাভ অশোকনগরের ব্যবসায়ীর – aam panna drink hugely selling by a vendor at ashoke nagar good news


রাস্তায় বেরিয়ে গরমে নাজেহাল? ঠান্ডা পানীয়র খোঁজ করছেন? উত্তর ২৪ পরগনায় অশোকনগর এলাকায় মানুষের তৃষ্ণা মেটাতে হাজির সুব্রত মণ্ডল। কোনও রাসায়নিক মেশানো পানীয় নয়, আম পোড়া শরবত খাইয়ে মাত করছেন ক্রেতাদের। ভিড় জমছে রাস্তার পাশে তাঁর স্টলে।গরমে স্বস্তি পেতে ঠান্ডা পানীয়ে ঝোঁক বাড়লেও প্যাকেট বা বোতলের ফ্রুট জুস বা কোলড্রিংস নয়। কোনওরকম ভেজাল ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে ক্রেতার সামনেই গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে আম পুড়িয়ে শরবত করে বিক্রি করছেন সুব্রত মণ্ডল। এই ফলের রস বিক্রি করেই লাভবান হচ্ছেন অশোকনগর মেনা দৌলতপুর এলাকার এক শরবত বিক্রেতা।

বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন এখন তিনি সাড়ে তিনশো থেকে ৪০০ গ্লাস পোড়া আমের শরবত বা আমপানা বিক্রি করছেন দাঁড়িয়ে থাকা ঠেলা গাড়িতে। শুধু আম পোড়াই নয়, লেবু জল থেকে শুরু করে দইয়ের লস্যিও মিলছে এই বিক্রেতার কাছে। গত কয়েক মাসে রোদের তাপ বাড়তেই অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বেলার দিকে। তাই দুপুর ১২ টার পর থেকেই এই এলাকায় ঠান্ডা আমপোড়া শরবতের লোভেই ভিড় জমাচ্ছেন সব বয়সের মানুষজন। ফলে সর্বক্ষণই ভিড় লেগে থাকছে এই অস্থায়ী দোকানের সামনে।

বিক্রেতা জানালেন, রাত নয়টা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে তাঁর দোকানের তৈরি এই সব পানীয়। বাড়ি থেকে পুড়িয়ে নিয়ে আসা আম রাখা রয়েছে ক্রেতাদের সামনেই। অর্ডার করলেই সেই আম চোখের সামনে ছাড়িয়ে কেটে, তার সঙ্গে পরিমাণ মতো বিট লবণ মিশিয়ে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি সিরাপ ও পানীয় জল ব্যবহার করে হাতের সাহায্যে ব্লেন্ড করে শরবত তৈরি করা হচ্ছে। পরিবেশনের আগে রয়েছে বরফ ও বিশেষ মশলা।

কত কী জানার, কত কী শেখার! অবসরের পর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ‘সিনিয়র স্টুডেন্ট’ ইন্দ্রজিৎ
দাম নিয়েও হোঁচট খেতে হবে না সাধারণ ক্রেতাদের। এই শরবতের দাম রাখা হয়েছে মাত্র ১০ টাকা প্রতি গ্লাস। তপ্ত গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে এখন অনেকেই খাচ্ছেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি আমের এই শরবত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই আমপোড়া শরবতের কথা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রায় তিন বছর ধরে এই শরবত বিক্রি করেই পরিবারের মুখে আহার তুলে দিচ্ছেন বিক্রেতা সুব্রত মণ্ডল। স্বস্তি দিচ্ছেন তৃষ্ণার্ত মানুষকেও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *