Coal Sumggling Case,অবশেষে সিআইডির জালে কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডল – cid arrested asansol coal mafia jaydev mandal


এই সময়, আসানসোল: কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে তিনি অন্যতম অভিযুক্ত। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছিলেন তিনি। সেই জয়দেব মণ্ডলকে এবার গ্রেপ্তার করল সিআইডি। উত্তর আসানসোলে এক ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। জামিনে মুক্ত জয়দেবকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজছিল সিআইডি।অবশেষে শনিবার দুর্গাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। এদিনই তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ করে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে সিআইডি। এজলাসে জয়দেবের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে জামিন নাকচ করে জয়দেবের ৪ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালতের ভারপ্রাপ্ত সিজেএম মিশা মেনায়া।

২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর উত্তর আসানসোলে জাতীয় সড়কের পাশে একটি হোটেলের সামনে গুলি চলেছিল। সেদিন দিনের আলোয় আসানসোল উত্তর থানার চন্দ্রচূড় মন্দিরের কাছে পরিবহণ ও টোল ট্যাক্স ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায় মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতীরা। ওই গলি চালানোর ঘটনায় আসানসোলের কন্যাপুরের বাসিন্দা কয়লা মাফিয়া জয়দেব মণ্ডলের নাম জড়ায়। জয়দেব-সহ আরও কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ব্যবসায়ী দীনেশ গড়াই।

ব্যবসায়ীর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনায় প্রথমে তদন্ত শুরু করে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব হাতে নেয় রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর সিআইডি। ঘটনার দিন রাতেই আসানসোল উত্তর থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জয়দেব মণ্ডলের চার সঙ্গীকে হেফাজতে নিয়েছিল সিআইডি। তাদের নাম অভিষেক মুখোপাধ্যায়, টিঙ্কু কুমার প্রসাদ, পঙ্কজ কুমার সিং এবং কুলদীপ কুমার ওরফে কাল্লু।

কিন্তু, এই মামলায় মূল অভিযুক্ত জয়দেব মণ্ডলকে খুঁজে পাচ্ছিল না সিআইডি। তাঁর ফেরার থাকার কথা আসানসোল আদালতে সিজিএমের এজলাসে জানায় সিআইডি। গত ৩০ এপ্রিল তার ভিত্তিতে আসানসোল আদালত থেকে জয়দেবের নামে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। গ্রেপ্তারি এড়াতে জয়দেব আইনজীবী মারফত আগাম জামিনের আবেদন করেন কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি।

এরই মধ্যে গত ২১ মে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে কয়লা পাচার মামলায় চার্জ গঠনের দিনে চিকিৎসার কারণ দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন জয়দেব। সেদিন সিবিআই আদালতে মামলা সংক্রান্ত তথ্য জমা দেয় সিআইডি। সিআইডির অফিসাররা সেদিন জয়দেব মণ্ডলকে ধরতে আসানসোল আদালতে হাজিরও ছিলেন। কিন্তু জয়দেব না আসায় তাঁদেরকে ফিরতে হয় খালি হাতে।

আসানসোলে এসটিএফের হাতে পাকড়াও বিহারের অস্ত্রপাচারকারী

এর পর গ্রেপ্তারি এড়াতে গত ২৪ মে সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জয়দেব। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে এই মামলায় অবিলম্বে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু, তার পরেও আত্মগোপন করেছিলেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত, গোয়েন্দাদের জালে ধরা পড়লেন জয়দেব মণ্ডল। জানা গিয়েছে, সিআইডি এখন জয়দেবকে জেরা করে জানতে চাইছে দীনেশ গড়াইয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে কারা গুলি চালিয়েছিল। গুলি চালানোর পিছনে কারণই বা কী ছিল? তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি জমির দখলদারি নিয়ে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *