কথা দিয়েছিলেন যাদবপুরের মানুষের সঙ্গে থাকবেন। আর কথাও রখলেন তিনি। জয়ের পরেই এলাকায় দেখা গেল যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সায়নী ঘোষকে। এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, এর আগে কোনও সাংসদকে এমনটা করতে দেখা যায়নি। মানুষ যাতে তাদের দাবিদাওয়া জানাতে পারে তার জন্য ১ মাসের মধ্যে হেল্পলাইন চালু করার আশ্বাসও দিয়েছেন সায়নী। একইসঙ্গে সায়নীর আশ্বাস, সপ্তাহে একদিন দেখা করবেন সকলের সঙ্গে। এককথায় বলতে গেলে নির্বাচনে জয়লাভের পর মানুষের পাশে থাকারই আশ্বাস সায়নী ঘোষের।বৃহস্পতিবার বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সায়নী ঘোষ। বারুইপুর রবীন্দ্রভবনে একটি সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে সায়নী জানান, বারুইপুরের যে সব ওয়ার্ডে ভোট কম এসেছে সেখানে তিনি নিজে কাজ করবেন। সায়নী বলেন, ‘একমাসের মধ্যে হেল্পলাইন নম্বর চালু হবে। যেখানে মানুষ সাংসদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবে। সমস্যা জানাতে পারবে। পাশাপাশি, পুরসভার যে সব ওয়ার্ডে মাইনাস হয়েছে সেখানে আমি নিজে কাজ করব।’
সায়নীর আরও সংযোজন, ‘আমি মাঝে মাঝে আসব না। সব সময়ই আসব।’ উল্লেখ্য আগামী ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সায়নী কার্যত এদিন থেকেই সেই নির্বাচনের জন্য কর্মীদের ‘ওয়ার্মআপ’ করার বার্তা দেন। সায়নী বলেন, ‘একটা নির্বাচন শেষ। আর একটা নির্বাচন আসছে। অনেকের অসুবিধা হবে, কিন্তু আমি ছাড়ব না। দলকে আগে দেখতে হবে।’
সায়নীর আরও সংযোজন, ‘আমি মাঝে মাঝে আসব না। সব সময়ই আসব।’ উল্লেখ্য আগামী ২০২৬-এ বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সায়নী কার্যত এদিন থেকেই সেই নির্বাচনের জন্য কর্মীদের ‘ওয়ার্মআপ’ করার বার্তা দেন। সায়নী বলেন, ‘একটা নির্বাচন শেষ। আর একটা নির্বাচন আসছে। অনেকের অসুবিধা হবে, কিন্তু আমি ছাড়ব না। দলকে আগে দেখতে হবে।’
এদিন গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রো প্রকল্প নিয়েও মুখ খোলেন সায়নী ঘোষ। তিনি বলেন, ‘ভগবান চাইলে ও মানুষ চাইলে হওয়া উচিত (গড়িয়া-বারুইপুর মেট্রো প্রকল্প )। যে ভাবে নরেন্দ্র মোদী প্রথম ৬ রাউন্ডে হারছিলেন, এবং যে ভাবে ওঁর মার্জিন কমে দেড় লাখে এসেছে, তাতে দেশের মানুষ যদি আর একটু চান, তাহলে তিনিই থাকবেন না। তাই ওঁর কাছ থেকে আনার কোনও বিষয় থাকবে না। কারণ ইন্ডিয়া জোটের সরকার থাকবে এবং কাজের কাজ হবে। আর এই মেট্রোর কাজ নিয়ে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকবার মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। সেটা আমরা আবারও কথা বলব। আর বারুইপুরের মানুষের যদি সেটা দাবি হয়, তাহলে আজ নয় কাল নিশ্চয় হবে।’ উল্লেখ্য, এদিন সায়নীর পাশে বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দেখা যায়।