আচার্য সদন সূত্রে খবর, এসএসসি-র দ্বাদশ আরএলএসটি পরীক্ষায় ২৯,৫৭৫ জন চাকরি পেয়েছিলেন। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাদলকুমার পাত্রর সঙ্গে শনিবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় এসএসসি-র নির্দেশেই এই সার্টিফিকেট সংগ্রহের নির্দেশ।’
যদিও শিক্ষামহলে প্রশ্ন উঠেছে, স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের নীতি নির্ধারক সংস্থা, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের (এনসিটিই) বিধি অনুযায়ী, ২০১১-র টেট পাশের সময়ে তিন বছরের সার্টিফিকেট দেওয়ার চল ছিল। এতদিন পর তা কী করে লাইফ টাইম বা আজীবন করা হচ্ছে? আর এতদিন পরই বা কেন কমিশনের রিজিওনাল অফিসে পড়ে থাকা টেটের সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার কথা জানানো হচ্ছে!
এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে এদিন ফোনে বারবার যোগাযোগ করেও পাওয়া য়ায়নি। স্কুলশিক্ষা দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা জানান, তিনিও বিষয়টি নিয়ে একেবারেই কিছু জানেন না। যদিও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক, নদিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং ব্যারাকপুরের বিদ্যালয় পরিদর্শকদের (ডিআই-মাধ্যমিক) জানিয়েছেন, ২০১১-য় যাঁরা টেট পাশের সার্টিফিকেট তখন সংগ্রহ করেননি, তাঁদের সেই সার্টিফিকেট সংগ্রহ করার কথা জানানো হয়েছে।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অনিয়মের অভিযোগ তুলে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ মামলা করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এসএসসিকে ২০২২-এ এ ব্যাপারে ক্লিনচিট দিয়েছে।