জামাই ষষ্ঠীর আগে সকলের নজর কেড়েছে এই মিষ্টির গাছ। মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, ৫০০ গ্রাম ওজনের মিষ্টির গাছটির দাম ৩০০ টাকা। তবে আপাতত এইরকম মিষ্টির গাছ একটাই তৈরি করা হয়েছে। যদি ক্রেতাদের চাহিদা থাকে আরও এই ধরনের গাছ তৈরি করা হবে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর।
মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সৃঞ্জয় খাঁ জানান, বর্তমান পরিবেশের এই অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। গরমে জলছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘আমরা পরিবেশের কথা মাথায় না রেখে প্রতিনিয়ত গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছি। আজ সকলেই আমরা এর ফল পাচ্ছি। আর পরিবেশের ভারসাম্যের এই কথা মাথায় রেখে এই মিষ্টির গাছ তৈরি করেছি এবং সকলকে গাছ লাগানোর বার্তা দিচ্ছি।’
সৃঞ্জয় খাঁ আরও জানান, জামাইষষ্ঠীর দিন দোকানে ভিড় হওয়ার কথা মাথায় রেখে এই দিনটাকে বেছে নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সৃঞ্জয় খাঁ। অন্যদিকে, মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মী অজয় দাস। তিনি জানান, পরিবেশ বাঁচানোর ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন ধরনের চিন্তা ভাবনা। এটা মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে।
পরিবেশ রক্ষা এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে, এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দারাও, মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই কাজে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে যে কোনও মাধ্যমকেই বেছে নেওয়া যেতে পারে। আনন্দ উৎসবের মাঝেই মানুষ যদি পরিবেশের কথা চিন্তা করে, আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, তাহলেই এই উদ্যোগ স্বার্থক বলে জানিয়েছেন সেই মিষ্টি ব্যবসায়ী।