Sweet Shop Owner On Jamai Sasthi Gave Special Message On Environment Awareness Good News


জামাই ষষ্ঠীতে পঞ্চ ব্যঞ্জন সাজিয়ে জামাই আপ্যায়ন করার রীতি তো আছেই। শেষ পাতে নানা ধরনের মিষ্টিও বাদ যায় না। মঙ্গলবার রাত থেকেই মিষ্টির দোকানে ভিড় উপচে পড়েছে। মিষ্টি বিক্রেতারাও ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী মিষ্টি সরবরাহ করতে রাতদিন এক করে পরিশ্রম করে চলেছেন। এর মাঝেই পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিলেন এক মিষ্টি বিক্রেতাবুধবার জামাই ষষ্ঠী। আর সেই উপলক্ষ্যে দোকানে নানা ধরনের মিষ্টি তৈরি করার পাশাপাশি মিষ্টির গাছ তৈরি করে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিলেন কুলগাছিয়ার একটি নামী মিষ্ঠান্ন ব্যবসায়ী। তবে শুধু মিষ্টি বিক্রি নয়, পাশাপাশি মিষ্টির গাছ বানিয়ে পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিচ্ছেন তিনি। মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মীরা।

জামাই ষষ্ঠীর আগে সকলের নজর কেড়েছে এই মিষ্টির গাছ। মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর, ৫০০ গ্রাম ওজনের মিষ্টির গাছটির দাম ৩০০ টাকা। তবে আপাতত এইরকম মিষ্টির গাছ একটাই তৈরি করা হয়েছে। যদি ক্রেতাদের চাহিদা থাকে আরও এই ধরনের গাছ তৈরি করা হবে বলে প্রতিষ্ঠান সূত্রে খবর।

Jamai Sasthi Special Sweets : জামাইষষ্ঠীর নয়া চমক চকোলেটি পোহা পিঠে

মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সৃঞ্জয় খাঁ জানান, বর্তমান পরিবেশের এই অবস্থার জন্য আমরাই দায়ী। গরমে জলছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। তাঁর কথায়, ‘আমরা পরিবেশের কথা মাথায় না রেখে প্রতিনিয়ত গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছি। আজ সকলেই আমরা এর ফল পাচ্ছি। আর পরিবেশের ভারসাম্যের এই কথা মাথায় রেখে এই মিষ্টির গাছ তৈরি করেছি এবং সকলকে গাছ লাগানোর বার্তা দিচ্ছি।’

সৃঞ্জয় খাঁ আরও জানান, জামাইষষ্ঠীর দিন দোকানে ভিড় হওয়ার কথা মাথায় রেখে এই দিনটাকে বেছে নিয়ে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সৃঞ্জয় খাঁ। অন্যদিকে, মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশকর্মী অজয় দাস। তিনি জানান, পরিবেশ বাঁচানোর ক্ষেত্রে এটা একটা নতুন ধরনের চিন্তা ভাবনা। এটা মানুষের কাছে ইতিবাচক বার্তা দেবে।

‘এত্ত ভালো’! হুগলির দই নিয়ে রচনার দেদার প্রশংসা, জামাইষষ্ঠীতে চাহিদা তুঙ্গে
পরিবেশ রক্ষা এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংগঠন। তবে, এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয় বাসিন্দারাও, মিষ্টি ব্যবসায়ীর এই কাজে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পরিবেশ রক্ষার বার্তা দিতে যে কোনও মাধ্যমকেই বেছে নেওয়া যেতে পারে। আনন্দ উৎসবের মাঝেই মানুষ যদি পরিবেশের কথা চিন্তা করে, আগামী প্রজন্মের কথা চিন্তা করে, তাহলেই এই উদ্যোগ স্বার্থক বলে জানিয়েছেন সেই মিষ্টি ব্যবসায়ী।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *