বাড়িতেই শখের আমবাগান করেছেন পান্ডুয়া বেনেপাড়ার বাসিন্দা পার্থ দে। পেশায় একজন কেবল অপারেটর পার্থ। তাঁর শখ গাছ লাগানো। হরেক রকম ফলের গাছ করেছেন নিজের বাড়ির বাগানে। নিজে আম খেতে ভালোবাসেন বলে দেশ বিদেশের ২৫ রকমের আম গাছ বসিয়েছেন তিনি। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর বাগানে ফলছে মিয়াজাকি, আমেরিকান কেন্ট, চ্যাং মাই, বুনাই কিং, ইয়োলো আইভরি, ব্যানানা ম্যাঙ্গোর মত দুষ্পাপ্য সব আম।
পার্থ বলেন, ‘চারিদিকে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে দেখতে পাই। তাই গাছ লাগানোর সংকল্প করেছি।’ তবে, ফলের গাছই কেন? পার্থর উত্তর, ফল খাওয়াও হল, আবার গাছও হল। তাতে মানুষের উপকারই হবে। পার্থ জানান, লক্ষাধিক টাকার ফলের গাছের চারা কিনে বসিয়েছেন। সার, খোল দিয়ে গাছের পরিচর্যা করেন। এবার সব জায়গায়তেই আমের ফলন কম। তাঁর বাগানেও আম ফলেছে, তবে কম।
বাগানে থাইল্যান্ডের একটি প্রজাতির আম রয়েছে যা সারা বছর ফলে। মিয়াজাকি ছাড়াও আমেরিকান কেন্টের চারা হাওড়ার একটি নার্সারি থেকে কিনে এনেছিলেন। ভিয়েতনামের লাল কাঁঠাল, আতা, সবেদার মত ফল গাছও রয়েছে তাঁর বাগানে। বাড়ির পাশের জায়গাটি জঙ্গল হয়ে পড়েই ছিল। সেখানেই সাজিয়ে গুছিয়ে এই বাগান তৈরির পরিকল্পনা করেন বছর পাঁচেক আগে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। শীতকালে নানা ধরণের সবজির পাশাপাশি নামীদামি ফলের গাছ লাগানোর চেষ্টা শুরু করেন। ধীরে ধীরে তাঁর বাগানে বাড়ে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছের সংখ্যা। আগামী দিন এই বাগানকে টিকিয়ে রাখা, গাছের পরিচর্যা করে যাওয়াটা তাঁর লক্ষ্য রয়েছে বলে জানান উদ্ভিদপ্রেমী পার্থ।
