লাগাতার বৃষ্টি চলছে দার্জিলিং, কালিম্পং সহ বিস্তীর্ণ পাহাড়ি এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, গতকাল থেকে দার্জিলিং টাউনে ৫২ মিমি, কার্শিয়াং-এ বৃষ্টি হয়েছে ৯৪.৪ মিমি। টানা বৃষ্টির কারণেই নতুন করে কালিঝোরা, রবিঝোরা, ২৭ মাইল এলাকায় ধস নামে।
রবিবার দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো বাতাসের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে।
এদিকে, সিকিমেও টানা বৃষ্টিপাত চলছে। উত্তরবঙ্গ বৃষ্টির কারণে তিস্তার জল বিপদ সীমার কাছ দিয়ে বইছে। শনিবার সকালে গজলডোবার তিস্তা ব্যারেজ থেকে প্রায় ১১০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়। ব্যারেজের ছয়টি লকগেট খোলা রাখা হয়। তিস্তা পারের নিচু এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে, উত্তর সিকিমে বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে ছোট বড় ধস নামে। বিখ্যাত পর্যটন স্থান লাচুং-এর সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। বিপর্যয়ের জেরে সিকিমে এখনও ১২০০ পর্যটক আটকে রয়েছেন। তাঁদের অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের। তা ছাড়া রয়েছেন ১৫ জন বিদেশি। তাঁদের উদ্ধার করা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে সিকিম প্রশাসন।
পর্যটকদের যাতে আকাশপথে উদ্ধার করা সম্ভব হয় তার জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার সঙ্গে কথা বলে সিকিম প্রশাসন। তবে, দুর্যোগ না কমলে সেটাও করা সম্ভব হচ্ছে না। পর্যটকরা যা হোটেল বা হোম স্টে গুলিতে রয়েছেন, সেখানেই তাঁদের নিরাপদে থাকার কথা জানানো হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফে রংপোতে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়। রবি বিশ্বকর্মা (৮৭৬৮০৯৫৮৮১) এবং পুষ্পজিৎ বর্মণের (৯০৫১৪৯৯০৯৬) এই দুই আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা জানানো হয়।