দুর্গাপুরের নেতা পঙ্কজ রায় সরকারকে বহিষ্কার সিপিএমের, তৃণমূলে যোগদান ঘিরে জোর জল্পনা – durgapur cpim expel pankaj roy sarkar from the party


সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর শেয়ার করা পোস্ট নিয়ে বিস্তর চর্চা শুরু হয়েছিল। তিনি লিখেছিলেন, ‘নিস্তব্ধতা বলে এই ভূদেশে কিছু আছে না কি?’ পরে অবশ্য সেই পোস্ট তিনি ডিলিটও করে দেন। এবার যাবতীয় জল্পনার মাঝেই দুর্গাপুরের দুঁদে নেতা পঙ্কজ রায় সরকারকে বহিষ্কার করল সিপিএম। শোনা যাচ্ছে, রবিবার বিকেলেই নাকি তিনি যোগদান করবেন তৃণমূলে। এই বিষয়ে একাধিকবার এই সময় ডিজিটালের তরফে তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু, কোনও জবাব মেলেনি। মুখ খুলতে নারাজ দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতারাও। কিন্তু, তাঁর অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদানের জল্পনার মাঝেই সিপিএম-এর বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।সিপিএম-এর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য ছিলেন পঙ্কজ। একসময় রাজনীতির জন্য ছেড়েছিলেন ইসিএলের চাকরিও। হয়েছিলেন দলের হোলটাইমার। দুর্গাপুরে দলের সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। একইসঙ্গে দলের আইটি সেলের দেখাশোনা করতেন তিনি।

তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা অনেকের নজর কেড়েছিল বলে দাবি রাজনৈতিক মহলের। পাশাপাশি তিনি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী নিরুপম সেনের স্নেহের পাত্র ছিলেন। তাঁর সঙ্গে সিপিএম-এর কেন দূরত্ব তৈরি হল? তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি পঙ্কজ।

জানা যায়, রবিবার রানিগঞ্জে জেলা সিপিএম দফতরে একটি বৈঠক হয়। এরপরেই তাঁকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে জেলা কমিটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘যিনি দলের পলিশি মেনে কাজ করেন তিনিই একনিষ্ঠ কর্মী। কিন্তু, পঙ্কজবাবু দলের রণকৌশলের বিরোধিতা করে চলেছেন। তাঁকে সংশোধনের চেষ্টা করা হয়েছিল। যখন তিনি সংশোধনের অযোগ্য হয়ে পড়েছিলেন সেই সময় তাঁকে বহিষ্কার করা ছাড়া দলের কাছে কোনও বিকল্প ছিল না। দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

এরপরেই তাঁর তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা আরও প্রবল হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তিনি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছেন। দুর্গাপুর অঞ্চলে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। এছাড়াও আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। তাঁর অনুগামীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়।

পঙ্কজ রায় সরকার যে দুর্গাপুরের রাজনীতিতে একটি বড় ‘ফ্যাক্টর’, এমনটাই জানাচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। শোনা যাচ্ছে, রবিবার বিকেল চারটা নাগাদ তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। যদিও রাজ্যের শাসক দলের তরফে এই নিয়ে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি এখনও।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *