পুলিশ অনুমতি দিলেই সেতুগুলো সংস্কারের কাজ শুরু হবে। কেএমডিএ-র এক কর্তা রবিবার বলেন, ‘চারটি সেতুই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সে জন্যই ধাপে ধাপে সংস্কারের কাজ হবে।’ সাধারণ মানুষের যাতে যাতায়াতের সমস্যা না-হয়, সে জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে পুলিশের অনুমতির উপর সবটা নির্ভর করছে বলে জানাচ্ছেন কেএমডিএর কর্তারা।
মাস ছয়েক আগে শহরের সেতুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে কেএমডিএ একটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। ওই বিশেষজ্ঞ সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতেই মাস কয়েক আগে মা ফ্লাইওভার সংস্কারের কাজ হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, বাকি সেতুগুলোর মধ্যে কালীঘাট সেতুর স্বাস্থ্যের অবস্থা তুলনামূলক ভাবে খারাপ বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ সংস্থাটি।
ওই সেতুটির সংস্কার করা হবে, নাকি ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে, সেটা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। নবান্নের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে কেএমডিএ সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু বাকি চারটি সেতুর সংস্কারের কাজ ফেলে রাখা হবে না। বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যেরা কেএমডিএ-কে সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার যে রিপোর্ট দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, পুরোনো দুর্গাপুর ব্রিজ, জিরাট ব্রিজ, ধনধান্য সেতু এবং চেতলা ব্রিজের বিয়ারিং, পিলারের গার্ডার বদলানো জরুরি।
সেই সঙ্গে বৃষ্টির জল যাতে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে পারে, সে জন্য পাইপলাইন সংস্কারের কাজও করতে হবে। কেএমডিএ নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির এক সদস্যের কথায়, ‘ওই সেতুগুলোর বেশ কিছু বিয়ারিং জীর্ণ হয়ে পড়েছে এবং সেগুলোর পরিবর্তন করা জরুরি।’ গত কয়েক বছরে শহরের তাপমাত্রা বাড়া এবং বৃষ্টিতে সেতুতে জল জমার কারণেই বিয়ারিংগুলোর ক্ষতি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।
কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, ব্রিজ অ্যাডভাইজ়রি কমিটির বৈঠক হবে কয়েক দিনের মধ্যেই। কোন সেতুর সংস্কারের কাজ আগে হবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে ওই বৈঠকেই।