Shantiniketan Bolpur,গরমে হরিণদের সুস্থ রাখতে ‘স্পেশ্যাল ডায়েট’, কী কী থাকছে মেনুতে? – special summer diet for deer at ballavpur santiniketan


বিভিন্ন জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি এলেও গরমের দাপট কিন্তু এখনও পুরোপুরি কমেনি। সঙ্গে রযেছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও। শুধু মানুষ নয়, গরমে নাজেহাল পশুপাখিরাও। এই পরিস্থিতিতে শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর অভয়ারণ্যের হরিণদের সুস্থ রাখতে চিকিৎসকদের পরামর্শে তৈরি করা হল ‘গ্রীষ্মের খাদ্য তালিকা’। বর্তমানে এই বল্লভপুর অভয়ারণ্যের রয়েছে ৪৫টি হরিণ। পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম এই হরিণ সংরক্ষণ কেন্দ্রটি তৈরি করা হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। বিগত দিনে এখানে ২৫০টির বেশি হরিণ থাকলেও, পরবর্তীতে এখান থেকে বক্সার জঙ্গলে ২০০টিরও বেশি হরিণ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফলে বর্তমানে এখানে হরিণের সংখ্যাটা এসে দাঁড়িয়েছে ৪৫। আর সেই হরিণের কারণে কবিগুরুর শান্তিনিকেতনে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই অভয়ারণ্য ।এই হরিণের টানেই এখানে আসেন প্রচুর পরিমাণ পর্যটক। তাই তীব্র গরমে যাতে হরিণগুলি সুস্থ থাকে সেই কারণে সেগুলির জন্য বিশেষ খাবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো হরিণগুলিকে দেওয়া হচ্ছে খাবার। সেক্ষেত্রে খাদ্যতালিকায় রয়েছে গ্লুকোস, এআরএস, সবুজ ঘাস পাতা, ভুট্টা, ভুট্টা পাতা ও ছোলা।

ballavpur santiniketan

গরমে হরিণদের বিশেষ খাবার


এই প্রসঙ্গে ADFO বীরভূম ডিভিশন শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, ‘হরিণদেরকে সুস্থ রাখতে আমরা বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছি। যেমন প্রতি মুহূর্তে হরিণদের উপরে নজরে রাখছেন বনদফতরের কর্মীরা। কোনও হরিণ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত সেটির চিকিৎসা করা হচ্ছে। এছাড়াও চিকিৎসকদের পরামর্শে যে খাদ্য তালিকা তৈরি করা হয়েছে সেই মতোই খাবার দেওয়া হচ্ছে হরিণদের। যেমন গ্লুকোস, ওআরএস, সবুজ ঘাস পাতা, ভুট্টা, ভুট্টা পাতা এবং ছোলা। এছাড়াও তীব্র গরমের কারণে তাদেরকে প্রতিমুহূর্তে দেওয়া হচ্ছে ঠান্ডা জল। কোনও কারণে জল গরম হয়ে গেলে দ্রুত বদলে ফেলা হচ্ছে।’

কিছুদিন আগে আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জলশূন্যতা আটকাতে পশুপাখিদের পানীয় জলে নিয়ম করে ওআরএস মেশানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রাণীরা ঠান্ডা জলে যাতে নিজেদের তেষ্টা মেটাতে পারে, তার জন্য এনক্লোজারের জলে রেখে দেওয়া হয় বরফের স্ল্যাব। কৃত্রিম জলাশয়ে শরীর ডুবিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকার পর সেখান থেকে বেরিয়েই ঠান্ডা জল খেয়ে শরীর জুড়োতে দেখা যায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ও সিংহদের। প্রসঙ্গত, প্রতি বছরেই গরম পড়লেই আলিপুর চিড়িয়াখানার ‘বাসিন্দা’দের ডায়েটে বদল আনা হয়। পশুদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাখায় রেখে নানা রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এই বছর গরমে আরও বিশেষভাবে খেয়াল রাখা হয় সেখানকার পশুপাখিদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *