উপপ্রধান বলেন, ‘এই সব এলাকায় চরম সঙ্কটের কথা ভেবে জল সংরক্ষণের চিন্তা-ভাবনা শুরু করি আমরা। সেই সময়ে আমাদের ব্লকের দায়িত্বে থাকা তৃণমূলের যুব নেতা মুকুল উপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এমন কিছু করা হোক যাতে জলসঙ্কট মেটে। তেমনই গরম থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তি দিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগানোর উপর জোর দিক পঞ্চায়েত। তার সেই পরামর্শ মেনে জল সংরক্ষণের সঙ্গে গাছ বসানোর বিষয়টি প্রস্তাব আকারে গ্রহণ করে কার্যকর করেছি।’
পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ তাঁদের সব সদস্যকে জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দেশ অমান্য করে কোথাও নির্মাণকাজ হলে অবিলম্বে তা আটকাতে হবে। পদক্ষেপ করার জন্য জানাতে হবে পুলিশ-প্রশাসনকে।
ইতিমধ্যে এলাকার কয়েকজন প্রোমোটার তাঁদের আবাসনে বৃষ্টির জল ধরে রাখার উদ্যোগ নিয়েছেন। রূপনারায়ণপুরের প্রোমোটার চিত্ত মাজি বলেন, ‘আমার তৈরি করা চারটি বড় আবাসনে বৃষ্টির জল ধরে রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি আবাসনে আড়াইশো বড় গাছ বসিয়েছি।’
জল সংরক্ষণ নিয়ে হিন্দুস্তান কেবল্সের রাস্তায় একটি বহুতল আবাসনের বাসিন্দা প্রতাপ পাল বলেন, ‘সঙ্কটের কারণে আমরা জল সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছি। ছাদের জল পাইপের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় একটি কুয়োতে। প্রয়োজনে সেখানে ফটকিরি, চুনের মিশ্রণ দিয়ে জল পরিস্রুত করি।’
সালানপুর ব্লক তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিজয় সিং বলেন, ‘রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত দিয়ে এই ব্যবস্থা শুরু হল। ভবিষ্যতে সালানপুর ব্লকে তৃণমূল পরিচালিত ১১টি পঞ্চায়েতেই এই ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আসানসোলের মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘গাছ ও জল সংরক্ষণে রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। আমাদের রাজ্যের অন্যান্য পঞ্চায়েতকে পথ দেখাবে রূপনারায়ণপুর।’ সালানপুরের বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের এই সিদ্ধান্ত আমাদের ১১টি পঞ্চায়েতেই যাতে চালু করা যায়, তা অবশ্যই আমি দেখব।’