Rath Yatra 2024,পুরীর নিয়মে চলে কামারহাটির রথ – kamarhati rath yatra is similar to puri rath yatra


এই সময়, কামারহাটি: পুরীর মতোই রথে কোনও পেরেক ব্যবহার করা হয় না। পুরী থেকে প্রায় ৪২ জন মহারানাকে নিয়ে এসে দু’মাস ধরে চলে রথ তৈরি। পুরীর আদলে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি রথ এ বারও কামারহাটির বিশেষ আকর্ষণ। রথযাত্রা উৎসবকে ঘিরে কামারহাটি তো বটেই, আশপাশের এলাকার মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।রবিবার দুপুর থেকে রথ দেখতে মানুষ ভিড় জমান। এ দিন বিকেল চারটের কিছু পর মহাপ্রভু জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা রথে চড়ে রথতলা মোড় থেকে বিটি রোডের ডানলপ অভিমুখী লেন ধরে মাসির বাড়ির জন্য রওনা হন। রথযাত্রা উপলক্ষে এ দিন বিটি রোডের ডানলপ অভিমুখী ওই লেনের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ব্যারাকপুর অভিমুখী লেন দিয়ে দু’দিকের যান চলাচল করানো হয়। যার জেরে গাড়ির গতি কিছুটা কমে যায়। কামারহাটির রথকে ঘিরে সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিনশোর উপরে পুলিশ মোতায়েন ছিল রথতলায়। ছিলেন পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) অনুপম সিং।

দু’বছর আগে শুরু হলেও পুরীর আদলে সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি কামারহাটির রথ ইতিমধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এ বার বেলঘরিয়া রথতলা শ্রীশ্রী জগন্নাথ মহাপ্রভু মন্দিরের রথ তৃতীয় বর্ষে পড়ল। উদ্যোক্তাদের দাবি, তাঁদের রথ পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে কাঠের তৈরি অন্যতম বড় রথ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে মহাপ্রভু জগন্নাথ, ভাই বলভদ্র এবং বোন সুভদ্রার জন্য তিনটি আলাদা আলাদা রথ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

রাউরকেল্লার জঙ্গল থেকে কাঠ এনে পুরীর প্রায় ৪২ জন মহারানাকে নিয়ে এসে গত দু’মাস ধরে কামারহাটি রথতলা মোড়ে বিটি রোডের ধারে রথ তৈরি হয়। ১৬ চাকা বিশিষ্ট জগন্নাথ দেবের রথের উচ্চতা ৩৫ ফুট, ১৪ চাকা বিশিষ্ট বলভদ্রের রথের উচ্চতা ৩৩ ফুট এবং ১২ চাকা বিশিষ্ট সুভদ্রার ৩১ ফুট উচ্চতার রথ এ দিন রাস্তায় নামে।

উল্লেখ্য, এই রথ তৈরিতে পুরীর মতো কোনও পেরেক ব্যবহার করা হয় না। এই পুজোর প্রধান সেবায়েত তথা সম্পাদক সোমনাথ রায়চৌধুরী বলেন, ‘পুরীর রথ তৈরিতে যে সব কাঠ ব্যবহার করা হয় সেই কাঠ দিয়েই আমাদের রথ তৈরি হয়েছে। পুরীর নিয়ম মেনেই আমরা সব কাজ করেছি।’

জীবন্ত জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা আর মালপোয়ায় পুজো-সূচনা
রবিবার বিকেলে রথতলা মোড় থেকে বিটি রোড ধরে এক কিলোমিটার দূরে বিটি রোডের ধারে শহিদ ক্ষুদিরাম শিশু উদ্যানে মাসির বাড়ির জন্য বেরোন মহাপ্রভু জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা। তিনটি আলাদা আলাদা রথে রাজবেশে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। রাতে মহাপ্রভু মাসির বাড়িতে পৌঁছন। উদ্বোধনী পর্বে সুব্রত বক্সি, সৌগত রায়, গোপাল সাহার মতো বিশিষ্ট অতিথিরা হাজির ছিলেন।

অসমের কামাখ্যা, উত্তরপ্রদেশের কাশী বিশ্বনাথ মন্দির থেকে নাগা সন্ন্যাসীরা এসেছিলেন। ছিল বর্ণাঢ্য নৃত্য, শ্রীখোলের তালে নাচ। রথতলা মোড়ে উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুরের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর ও ট্র্যাফিক) অতুল বিশ্বনাথন। তিনি বলেন, ‘সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। মোতায়েন করা হয়েছিল পর্যাপ্ত সংখ্যায় পুলিশ।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *