Digha Road,প্রবল বৃষ্টির মাঝে দিঘার রাস্তায় দুর্ঘটনা, মৃত ২ – two person death in a road accident on digha nandakumar national highway


প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝেই ফের একবার দিঘার রাস্তায় পথ দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল ২ জনের। আহত আরও ২ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কের বাজকুলে। মৃতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আহতদের তড়িঘড়ি বাজকুলের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে স্থানাস্তরিত করা হয় তমলুকে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মারিশদা কালীনগর থেকে মাছ নিয়ে মোটর ভ্যানে চেপে ৪ ব্যক্তি নন্দকুমারের দিকে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে একটি লরি কাঁথির দিক থেকে আসছিল। সেই সময় প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরি ও মোটর ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের পরেই মোটর ভ্যানে থাকা চারজন ব্যক্তি ছিটকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ২ জনের। বাকি ২ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি বাজকুলের একটি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তমলুকের স্থানান্তরিত করা হয় তাঁদের। এদিকে এই দুর্ঘটনার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ভূপতিনগর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ লরি ও মোটর ভ্যানটিকে সরিয়ে জাতীয় সড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক করে। তবে মৃতদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, এর আগে গত মে মাসে দিঘা যাওয়ার পথে ভয়ানক দুর্ঘটনার কবলে একটি ছোট গাড়ি। উলটো দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। ঘটনাটি ঘটে মারিশদা থানার দাইসাই বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়। ছোট গাড়িটিতে চারজন ছিলেন বলে জানা যায়। দুর্ঘটনায় গাড়িটি পুরোপুরি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। মৃত্যু হয় ৪ জনেরই। জানা যায়, শিবশক্তি নামে বাসটি দিঘা থেকে কলকাতার পথে রওনা হয়েছিল। অপরদিকে দিঘার দিকে যাচ্ছিল ছোট গাড়িটি। পথের মাঝেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। পর্যটকদের গাড়িটি নদিয়া থেকে দিঘার পথে যাচ্ছিল।

সেই ঘটনার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে উলটে যায় একটি যাত্রীবোঝাই বাসও। বেলদা রোডের পাশে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বাসটি। দুর্ঘটনায় আহত হন একাধিক যাত্রী। আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও ছিল বলে জানা যায়। একের পর এক এই ধরনের ঘটনায় আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। যদিও পুলিশের তরফে অবশ্য দুর্ঘটনা রুখতে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ করা হয়। কিন্তু তারপরেও মাঝেমধ্যেই উঠে আসছে দুর্ঘটনার খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *