Vegetable Price,‘সুফল বাংলা’র থেকেও কম দামে মিলবে সবজি, দারুণ উদ্যোগ হুগলিতে – vegetable price in low rate selling initiative by hooghly district administration


সবজির দামে ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের। দু’দিন আগেই সবজির দাম নিয়ে বৈঠক করেছেন বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই ‘সুফল বাংলা’র থেকেও কম দামে সবজি বিক্রির ব্যবস্থা নিল হুগলি জেলা প্রশাসন। আমজনতার জন্য দারুণ উদ্যোগ হুগলি জেলায়।সুফল বাংলার থেকে সব সবজিতে দু’টাকা কম দামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন। খোলা বাজার থেকে বেশ খানিকটা কমে কাঁচা আনাজ বিক্রি করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি ক্রেতারা। কাঁচা আনাজের দাম কমাতে বাজারে বাজারে নজরদারির পর এবার নিজেদের উদ্যোগেই ক্রেতাদের সুরাহা দিতে কাঁচা আনাজ বিক্রি শুরু করল জেলা প্রশাসন। হুগলি জেলা শাসক দফতরের সামনে গাড়ি করে সবজি বিক্রি করা শুরু হল। কম দামে আনাজ পেয়ে খুশি ক্রেতা।

Vegetable Price Hike in Kolkata : দামে লাগাম টানতে বাজারে টাস্ক ফোর্সের হানা

উল্লেখ্য, হুগলি জেলা উদ্যান পালন দফতরের কৃষি ফার্ম রয়েছে। সেখানেই নানা ধরনের সবজি চাষ হয়। পালংশাক, পেঁপে, বেগুন,বরবটি, ক্যাপসিকাম, টমেটো, শশা, ধনেপাতা উৎপাদন হয় সময় অনুযায়ী। বর্ষায় পলি হাউসে সবজি চাষ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সবজি সরাসরি চাষিদের থেকে কিনে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে যা দাম তার থেকে বেশ কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। পটল, ঝিঙে, কুমড়ো, পেঁপে ত্রিশ টাকা কিলো,পালংশাক চল্লিশ টাকা, শশা ৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বেগুন আশি টাকা কিলো, আলু ২৮ টাকা, পিঁয়াজ ৩৮ টাকা কিলো দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

‘এত বেশি লাভ কর না, লক-আপে গেলে ভালো লাগবে?’ মানিকতলা বাজারে ব্যবসায়ীদের কড়া দাওয়াই টাস্ক ফোর্সের
জেলা উদ্যান পালন দফতরের আধিকারিক ডঃ শুভদীপ নাথ জানান, সুফল বাংলার থেকে কিলো প্রতি দু’টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কৃষি দফতর, উদ্যান পালন দফতর, কৃষি বিপণন দফতর ও সমবায় দফতরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানী লিমিটেড (এফপিসি) এর মাধ্যমে সবজি বিক্রি করা হয়। চাষির কাছ থেকে সরাসরি কিনে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করায় ফোঁড়েদের কমিশন থাকছে না ফলে দাম কম দামে দিতে পারছে। প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত বিক্রি হবে সবজি বিক্রি করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, বাজারে যা সবজির দাম, তাতে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। এরকম অবস্থায় কম দামে সবজি পাওয়া গেলে আমাদেরই সুবিধা। জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *