চলন্ত বাইকে পুলিশের পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে চম্পট – mobile snatched from a policeman on moving bike in asansol 19 national highway


এই সময়, দুর্গাপুর: জাতীয় সড়কে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন নয়। একাধিকবার এমন ঘটনার নজির রয়েছে। কিন্তু, চলন্ত বাইক বা স্কুটার আরোহীর পকেট থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিস্মিত অনেকেই। তাও আবার কিনা পুলিশের পকেট থেকে মোবাইল ছিনতাই!১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে অন্ডাল থেকে আসানসোল পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিমি রাস্তায় অভিনব কৌশলে বাইক ও স্কুটার আরোহীদের পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। সম্প্রতি দুর্গাপুর থানার এক পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে মোটরবাইকে আসানসোল যাচ্ছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। হঠাৎ পিছন থেকে ধেয়ে আসা একটি বাইকের দুই আরোহী ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।

সঙ্গে সঙ্গে এই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমস্ত থানাকে। শুরু হয়ে যায় নাকা চেকিং। কিন্তু খোঁজ মেলেনি বাইক আরোহী দুই দুষ্কৃতীর। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা দপ্তর ছিনতাই হওয়া মোবাইলের লোকেশন জানতে ট্র্যাক করছে। এক ঘটনা ঘটেছে আর এক মোটর বাইক আরোহীর সঙ্গেও। ওই বাইক আরোহীর মোবাইলও উদ্ধার হয়নি। ধরা পড়েনি দুষ্কৃতীরাও।

ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়ারের পকেট থেকে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা আমার জানা ছিল না। কয়েকদিন আগে জাতীয় সড়কে একজন বাইক আরোহীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজ চলছে।’

মোটরবাইক আরোহীদের পকেট থেকে কী ভাবে ছিনতাই হচ্ছে মোবাইল? জানা গিয়েছে, দুটো দলে ভাগ হয়ে ছিনতাই করা হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে, কোনও বাইক আরোহীর পকেটে দামি মোবাইল দেখলে দুষ্কৃতীরা অন্ডাল থেকে ওই ব্যক্তিকে ফলো করতে শুরু করে। তার পর সুযোগ বুঝে ওই আরোহীর ডান দিক দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে বাইক বা স্কুটার ছোটায় দুষ্কৃতীরা।

ওই পরিস্থিতিতে আরোহী যখন দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত, তখনই বাঁ দিক থেকে মোটরবাইকে দুই দুষ্কৃতী আরোহীর পাশে এসে পকেট থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে মোবাইল তুলে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। মুহূর্তে বাইকে গতির ঝড় তুলে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।

মোবাইল চুরিতে মিসিং ডায়েরি, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা
ছিনতাই হওয়া সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, ‘আমরা সাদা পোশাকে ছিলাম। হঠাৎ আমার ডান দিকে একটি স্কুটার চলে এসে আমাকে প্রায় ধাক্কা মারার পরিস্থিতি তৈরি করে। কোনওরকমে নিজেদের সামলে নিতেই বাঁ দিক থেকে আর একটি বাইক চলে আসে আমার সামনে। সেই বাইকে দু’জন ছিল। তারা আমার বুক পকেট থেকে মোবাইল ছিনিয়ে পালিয়ে যায়। বাইকের গতি বাড়িয়ে ধাওয়া করেছিলাম আমি। কিন্তু ওদের গতির সঙ্গে পেরে উঠিনি। এ ভাবে চলন্ত বাইক থেকে কেউ যে মোবাইল ছিনিয়ে নেবে এটা ভাবতেই পারিনি।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *