বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে টোটো তুলে দেন হাওড়া জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধক্ষ সুলেখা পাঁজা। সুলেখা পাঁজা জানান, জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের সুবিধার্থে তিনটি সরকার পোষিত এই ধরনের বিশেষ বিদ্যালয়ের হাতে একটি করে টোটো তুলে দেওয়া হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় দাস জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের ৮০ জন আবাসিকের মধ্যে কেউ দৃষ্টিহীন আবার কেউ বধির। রাত-বিরেতে হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে সমস্যা তৈরি হয়। বিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনও যানবাহন না থাকায় পড়ুয়াদের চরম সমস্যার মুখে পড়তে হয়। তবে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টোটো দেওয়ায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন পড়ুয়াদের অত্যন্ত জরুরী একটা প্রয়োজন মিটল বলে জানান অজয় দাস।
অন্যদিকে, বিদ্যালয়ে টোটো দেওয়ায় খুশি পড়ুয়া সহ তাঁদের অভিভাবকেরা। তাঁদের মতে, এতদিন মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচুর সমস্যার সম্মুখীন হতে হত পড়ুয়াদের। বিদ্যালয়ের নিজস্ব ই- রিক্সা থাকায় এই সমস্যা মিটবে।
অন্যদিকে, বিদ্যালয়ের নিজস্ব টোটো এসে যাওয়ায় দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থী মকবুল ইসলাম, বিষ্ণুপ্রিয়া মণ্ডল, সুমন্ত কিস্কু, শ্রবণ প্রতিবন্ধী তৃষা সাউ, অভয়চরণ মাহাতো এরা সকলেই খুব খুশি। এদিন হাতের ইশারায় মুখের অভিব্যক্তিতে তাঁরা বুঝিয়ে দিল এবার থেকে দিন রাতে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে আর দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।