এই সময়: রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভায় বছর চারেক আগে যে নিয়োগ হয়েছিল তার প্রশ্নপত্রেও ছিল নানা গরমিল। বিশেষজ্ঞদের সাহায্য ছাড়াই তৈরি করা হয়েছিল নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন। এজন্য বেশ কয়েকটি বইয়ের দোকান থেকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার এবং জেনারেল নলেজের বই কিনে এনেছিলেন প্রশ্ন তৈরির দায়িত্বে থাকা অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের কর্মীরা।পুর নিয়োগের মামলা নিয়ে বিশেষ আদালতে ৩২ পাতার যে চার্জশিট সিবিআই জমা করেছে তাতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্তে নেমে গত বছর পুজোর আগে অয়নকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। পরবর্তীতে তাঁকে হেফাজতে নেয় সিবিআই।
আদালত সূত্রে খবর, চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে জেরায় অয়ন এসবই স্বীকার করেছেন। সল্টলেকে যে অফিস ছিল এবিএস ইনফোজোনের, সেখানেই তৈরি করা হতো নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন। রাজ্যের ১৭টি পুরসভায় ২০১৪-র পর থেকে অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষাও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
আদালত সূত্রে খবর, চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে জেরায় অয়ন এসবই স্বীকার করেছেন। সল্টলেকে যে অফিস ছিল এবিএস ইনফোজোনের, সেখানেই তৈরি করা হতো নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন। রাজ্যের ১৭টি পুরসভায় ২০১৪-র পর থেকে অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই পুরসভার নিয়োগ পরীক্ষাও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।
২০২৩ সালের ১৯ মার্চ সল্টলেকের ব্যবসায়ী অয়নের অফিসে দীর্ঘসময় ধরে তল্লাশি চালান ইডির অফিসাররা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় পুর নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র-সহ নানা নথি। একইসঙ্গে রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভা এবং চেয়ারম্যানদের বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তকে একাধিকবার তলব করেন সিবিআইয়ের অফিসাররা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও পরীক্ষার বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।