প্রেমিকের সঙ্গে মিলে মাকে খুন মেয়ের! লাগাতার শাসানি বাবাকে – kolkata teenage girl allegedly of finish off her mother with minor boyfriend


এই সময়: নাবালক প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে নিজের মাকে খুনের অভিযোগ উঠলো নাবালিকা প্রেমিকার বিরুদ্ধে। শুধু খুন নয়, বাবাকে শাসিয়ে অপরাধের তথ্য লোপাট করে মায়ের দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে ওই নাবালক যুগলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি খাস কলকাতার। মায়ের মৃত্যু সংবাদ যাতে কেউ না জানতে পারে, তার জন্য প্রায় ১ মাস ২৩ দিন ধরে বাবাকে পাল্টা খুনের হুমকি ও শাসানি দেওয়ার মতো অভিযোগও রয়েছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।সন্তানের অপকীর্তিতে ভীত সন্ত্রস্ত অসহায় বাবা দীর্ঘ সময় মুখে কুলুপ এঁটে থাকলেও, শেষ পর্যন্ত অপরাধ আর চাপা থাকলো না। সোমবার পুলিশি জেরায় দু’জনেই অপরাধ কবুল করেছে। আজ, মঙ্গলবার আদালতে হাজির করানো হবে দু’জনকে। শিহরণ জাগানোর মতো এই অপরাধের সূচনা গত ৬ জুন, ঠাকুরপুকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, বছর চুয়ান্নর ওই ব্যক্তির সংসার ছিল স্ত্রী এবং একমাত্র সন্তান, বছর চোদ্দর ওই নাবালিকাকে নিয়ে। ফেসবুকে বছর দেড়েক আগে প্রায় সমবয়সী এক নাবালকের সঙ্গে নাবালিকার আলাপ হয়েছিল।

সম্পর্ক পরিণতি প্রায় প্রেমে। এই সম্পর্ক নিয়ে তীব্র আপত্তি ছিল বাবা-মায়ের। এই নিয়ে মেয়ের সঙ্গে নিয়মিত তাঁদের ঝগড়াঝাটিও হতো বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। অভিযোগ, ৬ জুন রাতে নাবালক সঙ্গীকে বাড়িতে ডেকে আনে নাবালিকা। ঠিক হয়, রাতে নাবালিকার সঙ্গে বাড়িতেই থাকবে বয়ফ্রেন্ড। এ নিয়ে আপত্তি করেন মা। শুরু হয় তুমুল অশান্তি।

অভিযোগ, এরপরে মাঝ রাতে মা-বাবার ঘরে চুপিসাড়ে সঙ্গীকে নিয়ে ঢুকে ঘুমন্ত মায়ের গলা টিপে ধরে নাবালিকা। মেয়ের হাত থেকে মা নিজেকে বাঁচাতে চাইলে নাবালক মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁর মুখ এবং বুকে অনবরত ঘুষি মারতে থাকে। ধস্তাধস্তির আওয়াজে বাবার ঘুম ভেঙে গেলে তাঁকে খাট থেকে ধাক্কা মেরে দু’জনে নীচে ফেলে দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের কাছে বাবার দাবি, সেই রাতেই মারা যান তাঁর স্ত্রী। মেয়ে ও তার বয়ফ্রেন্ড তাঁকে শাসিয়ে বলে, ঘটনার কথা কাউকে জানালে তাঁরও পরিণতি এক হবে।

পর্ন দেখে বোনকে ধর্ষণ, গলা টিপে খুন মায়ের সামনে!
পরের দিন সকালে, মা ‘অসুস্থ’ বলে স্থানীয় এক চিকিৎসককে ডেকে এনে তাঁর থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে মায়ের দেহ সৎকার করারও ব্যবস্থা করে ফেলে দু’জনে। বাবার অভিযোগ, তারপর থেকে প্রতি দিন তাঁকে শাসিয়ে যেতে থাকে তারা। স্ত্রীর নৃশংস খুনের ঘটনার সাক্ষী হয়েও ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে থাকেন তিনি। ছন্দপতন ঘটে সোমবার দুপুরে।

অভিযোগ, এ দিনও সেই নাবালক সঙ্গী আসার পরে দু’জন মিলে বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা চায়। না দিলে তার পরিণতিও স্ত্রীর মতো হবে বলে দু’জনে হুমকি দিতে থাকে। প্রাণভয়ে দু’জনের চোখ এড়িয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে একমাত্র সন্তানের কুকীর্তির কথা খুলে বলেন ওই ব্যক্তি।

ওই প্রতিবেশী ঠাকুরপুকুর থানায় ফোন করেন। পুলিশ বাড়ি থেকেই নাবালক যুগলকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশি জেরার মুখে অপরাধ কবুল করে তারা। প্রতিবেশীরা জানান, কীর্তিমান এই নাবালিকা দম্পতির পালিতা কন্যা। তার উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন দুঃসহ করে তুলেছিল বাবা-মায়ের জীবন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *