তবে এই স্মরণসভা ‘ওপেন ফর অল’, তাই যে কেউ আসতে পারেন।’ নাগরিক সমাজের বিশিষ্টদের মধ্যে শিল্পী, কবি-সাহিত্যিক, নাট্যকার, অভিনেতা, ক্রীড়াবিদ-সহ বিভিন্ন অংশের মানুষ রয়েছেন যাঁদের আমন্ত্রণ করা হয়েছে। বুদ্ধদেবের প্রয়াণের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাম অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও শ্রদ্ধা জানান। কিন্তু সিপিএম এঁদের কাউকে বুদ্ধদেবের স্মরণসভার আমন্ত্রপত্র পাঠায়নি। এই স্মরণসভার আগে বুধবার সন্ধ্যায় সিপিএমের যুব সংগঠন বুদ্ধদেবের বিভিন্ন সাক্ষাৎকার, পুরনো লেখা, অনুদিত কবিতার একটি সংকলন প্রকাশ করে।
সিপিএমের ছাত্র-যুব সংগঠনের রাজ্য দপ্তর দীনেশ মজুমদার ভবনে এই সংকলন প্রকাশ করেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ডিওয়াইএফআই-র রাজ্য সভাপতি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়-সহ যুব নেতৃত্ব ছিলেন অনুষ্ঠানে। বুদ্ধদেবের বিভিন্ন নিবন্ধের সংকলন এই প্রথম প্রকাশিত হলো। অতীতে প্রমোদ দাশগুপ্ত, জ্যোতি বসু, সরোজ মুখোপাধ্যায়-সহ সিপিএমের প্রথম সারির নেতাদের স্মরণসভা খোলা ময়দানে হয়েছিল।
বর্ষার কারণে বুদ্ধদেবের স্মরণসভা ইন্ডোরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সিপিএমের কর্মীরা বুধবার বিকেল থেকেই নেতাজি ইন্ডোরের চার পাশ লাল ঝান্ডায় মুড়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন।