নাদনঘাটের গঙ্গানন্দপুরের বাসিন্দা ওই শিক্ষককে এ দিন কালনা মহকুমা আদালতে পেশ কর হলে বিচারক ধৃতের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। বছর ৪৭-এর ওই প্যারাটিচারের বিরুদ্ধে ৩৪১, ১০ ও ১২ নম্বর ধারায় পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকাকে একটি দামি মোবাইল ফোনও কিনে দেন সেই প্যারাটিচার। প্রতিদিন রাতে সেই মোবাইলে ভিডিয়ো কলে নাবালিকার সঙ্গে কথা বলতেন তিনি। সম্প্রতি একটি পেপার মিল সংলগ্ন নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে নাবালিকাকে সিঁদুরও পরিয়ে দেন ওই শিক্ষক। সেখানেই তার যৌন হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ।
নাবালিকার মা বলেন, ‘মোবাইল ফোন দেওয়ার কথা কাউকে না বলার জন্য মেয়েকে হুমকি দিয়েছিল লোকটা। বইয়ের পাতা কেটে তার মধ্যে মোবাইল লুকিয়ে রাখতে বলেছিল। পরে মোবাইল ঘেঁটে ও মেয়ের কাছ থেকে সব জানতে পারি। মেয়েকে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার ছবি রয়েছে মোবাইলে।’ এর পরেই বৃহস্পতিবার ওই প্যারাটিচারের বিরুদ্ধে নাদনঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
মামলার সরকারি আইনজীবী মলয় পাঁজা বলেন, ‘নাবালিকা ওর মাকে জানিয়েছে, মাস তিনেক আগে তাকে ওই প্যারাটিচার মোবাইল কিনে দেয়। নির্জন এলাকায় নিয়ে গিয়ে সিঁদুর পরিয়ে ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে। বিচারক নাবালিকার গোপন জবানবন্দির আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিভাস বিশ্বাসের বক্তব্য, ‘স্কুলের ভিতরে কিছু ঘটেনি। বাইরে কী ঘটেছে সে ব্যাপারে জানি না। স্কুলে ১০ বছরের উপর রয়েছেন ওই প্যারাটিচার।’ এ দিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে ধৃত শিক্ষক বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। সিঁদুর পরাইনি। ওই ছাত্রীর প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি ছিল।’