Hamro Party Chief,পাহাড়ে অজয়ের নেতৃত্বে নয়া দল – darjeeling hamro party chief ajoy edwards led by new parties


এই সময়, শিলিগুড়ি: জিটিএ ভেঙে দেওয়া এবং ষষ্ঠ তফসিলের অধীনে পাহাড়ে স্বশাসনের লক্ষ্যে আরও একটি রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে পাহাড়ে। নয়া এই দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডস, প্রকাশ গুরুং, প্রদীপ প্রধান, সঞ্জয় ঠুলুং-সহ পাহাড়ের বেশ কিছু প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। তার মধ্যে কালিম্পংয়ের নেতাই রয়েছেন বেশি।তবে কোনও ভাবেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুং এই দলে ঠাঁই পাবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পুজোর আগেই দলটি আত্মপ্রকাশ করবে বলে প্রথমে ঠিক হলেও আরও কিছু রাজনৈতিক নেতাকে নতুন দলে সামিল করার পরিকল্পনা নিয়ে আপাতত সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুজোর পরেই নতুন দলের আত্মপ্রকাশ করার কথা।

নতুন দলে সামিল হবে অজয় এডওয়ার্ডসের হামরো পার্টি। এমনকী, প্রাক্তন জিএনএলএফ নেতা মহেন্দ্র ছেত্রীর তৈরি গোর্খা হিল সিক্সথ সিডিউল মুভমেন্ট কমিটিও ওই দলে যোগ দিতে পারে। ইতিমধ্যেই মহেন্দ্র ছেত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে বৈঠক করেছেন অজয় এডওয়ার্ডস। কালিম্পং ও পেশকের কয়েকজন নেতাও যোগ দেবেন।

মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘পাহাড়ের নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা চলছে। পুজোর পরে আত্মপ্রকাশ করবে। নতুন দল পাহাড়ের জনতার সঙ্গে প্রতারণা করবে না।’ পাহাড়ে ফের একটি নয়া রাজনৈতিক দল জন্ম নেওয়ার পিছনে কারণ এটাই। পাহাড়ের অধিকাংশ জনতাই মনে করেন, গোর্খাল্যান্ডের নামে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলছে।

হিন্দুত্বের ছাতা ছেড়ে নয়া পথে দলিত রাজনীতি?

অন্য দিকে, বিমল গুরুং-মন ঘিসিংরা বিজেপিকে সমর্থন করছেন। কিন্তু পাহাড়ের মানুষের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। বরং গোর্খাল্যান্ডের নাম ভাঙিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের জিটিএ’র ক্ষমতা দখলের প্রতিযোগিতায় তিতিবিরক্ত তাঁরা। নতুন দল ষষ্ঠ তফসিলের দাবিতেই সরাসরি ময়দানে নামবে। যদিও এ নিয়ে নেতাদের মধ্যে দ্বিমত এখনও রয়ে গিয়েছে।

নয়া দলের একাংশ আবার মনে করছেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই আন্দোলনে নামতে হবে। পরে পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করা হবে। এই দ্বিমতের কারণেই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে অজয় এডওয়ার্ডস সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও মন্তব্য করেননি। তবে প্রকাশ গুরুং বলেন, ‘বিজেপি পাহাড়ের জন্য কিছু করেনি। প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাও জিটিএ নিয়েই ব্যস্ত। সেই কারণেই নতুন দলের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *