কাঁকসা থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান, জাল শংসাপত্র তৈরির চক্রে আর কারা যুক্ত রয়েছে তা জানতে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জানা গিয়েছে, কাঁকসা ডাকবাংলো মোড়ের বাসিন্দা বাসুদেব এক সময়ে কাঁকসা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একটি ক্যান্টিন চালাতেন। শঙ্কর বিডিও অফিসে দালালির কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁকসার ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের ২ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা চঞ্চল সমাদ্দারের স্ত্রী প্রতিমার মৃত্যু হয় চলতি বছরের ২৫ জুন। কিন্তু এক বছর আগে প্রতিমার নামে একটি জাল ডেথ সার্টিফিকেট বের করান চঞ্চল। সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রতিমার নামে নেওয়া লোন মকুব করিয়ে নেন চঞ্চল। গত ২৫ জুন স্ত্রীর মৃত্যুর পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বন্ধের জন্য চঞ্চল কাঁকসা বিডিও অফিসে আবেদন করেন। তখনই জাল শংসাপত্র তৈরির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হলেও প্রতিমার মৃত্যুর শংসাপত্রে ঠিকানা ছিল গোপালপুর পঞ্চায়েতের। বিডিও অফিসের কর্মীদের সন্দেহ হলে তাঁরা মৃত্যুর শংসাপত্রটি পরীক্ষার জন্য পাঠান গোপালপুর পঞ্চায়েতে। ওই পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রীনন্দা রায় মহন্ত বলেন, ‘শংসাপত্রটি দেখেই বুঝতে পারি জাল। আমি প্রধানের চেয়ারে বসে রয়েছি অথচ শংসাপত্রে সই আগের প্রধানের। এর পরই পুলিশে অভিযোগ করি।’
তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ প্রথমে চঞ্চলকে আটক করে। পুলিশি জেরায় চঞ্চল জানান, তাঁর স্ত্রীর জাল ডেথ সার্টিফিকেট তৈরি করে দিয়েছেন বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় ও শঙ্কর ভৌমিক। পুলিশ বাসুদেব ও শঙ্করকে আটক করে জেরা শুরু করে। পুলিশি জেরায় জাল শংসাপত্র তৈরির কথা স্বীকার করে নেন দু’জন। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, জন্ম, মৃত্যু থেকে রেশন কার্ড সবেরই জাল শংসাপত্র তৈরিতে জড়িয়েছিলেন বাসুদেব, শঙ্কর।