সুড়ঙ্গের মধ্যে হঠাৎ কোনও জটিলতা দেখা দিলে যাত্রীদের যাতে নিরাপদে বার করে দেওয়া যায়, সে জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে। তারই অন্যতম হলো ইগ্রেস শাফ্ট। এই শাফ্ট তৈরি করার সময়ে প্রথমে একটি বিশেষ ধরনের পিলার তৈরি করতে হয়েছিল। এর নাম সেক্যান্ট পাইলিং। শাফ্ট তৈরি শেষ হওয়ার পর ওই সেক্যান্ট পাইলিংয়ের প্রয়োজন শেষ হয়েছিল। অপ্রয়োজনীয় সেক্যান্ট পাইলিংটি ভাঙার কাজ শুরু হতেই নতুন করে জল ঢুকতে শুরু করে ইগ্রেস শাফ্টে।
সে জন্য পিলার ভাঙার কাজ বন্ধ রেখে আগে শাফ্টে জল ঢোকা আটকাতে তৎপর হন ইঞ্জিনিয়াররা। কেএমআরসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, যে জায়গা দিয়ে জল ঢুকছিল, সেই জায়গায় আগে গ্রাউটিং করা হয়েছে। দ্রুত জমে যায়, এমন কংক্রিট বাইরে থেকে প্রবল চাপে মাটির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়ার পদ্ধতিকেই বলা হয় গ্রাউটিং। শাফ্টে গ্রাউটিংয়ের পর সেই কংক্রিট জমতে সময় দেওয়া হয়।
তার পর অন্য নানা ধরনের পরীক্ষা করে আগে ইঞ্জিনিয়াররা নিশ্চিত হয়েছেন যে, নতুন করে আর জল ঢুকবে না। তার পরেই ওঁরা কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গ তৈরির মূল কাজ সম্পূর্ণ। ইগ্রেস শাফ্টের যে টুকু কাজ বাকি, তার মধ্যে রয়েছে সেক্যান্ট পাইলিং পুরোপুরি কেটে ফেলার কাজও।
ওই কাজ এবং বাকি কাজ শেষ করতে খুব বেশি হলে দু’সপ্তাহ সময় লাগবে। আপাতত ওই কাজ যাতে নির্বিঘ্নে শেষ হয়, সেটা চাইছেন ইঞ্জিনিয়াররা। হাওড়া ময়দান থেকে সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ পর্যন্ত ১৬.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ট্রেন আপাতত হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড এবং সল্টলেক সেক্টর-ফাইভ থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত অংশে চলছে। শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড অংশ জুড়ে গেলেই মেট্রোপথে হাওড়া জুড়ে যাবে সল্টলেকের সঙ্গে।