এই নির্দেশের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই প্রয়োজনীয় ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। স্বাভাবকিভাবেই খড়গপুর-ঘাটাল-মেদিনীপুর হয়ে সড়কপথে মানুষজনকে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়।
পাঁশকুড়া পুরসভা এলাকায় বিস্তীর্ণ অংশ এখনও জলের তলায়। মানুষজন অনেকেই গৃহবন্দি। একতলা বাড়ির মানুষজন ত্রিপল টাঙিয়ে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে যেতে রাজি হননি। তাই বৃহস্পতিবার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এলাকায় গিয়ে বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেও অনেককে বাড়ি থেকে বার করতে পারেনি।
প্রশাসনের দাবি, সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে। ত্রাণ সামগ্রী সব জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, অনেকে বাড়ি ছেড়ে এসেও ঠিকমতো আশ্রয় পাননি। খাওয়া-দাওয়াও পর্যাপ্তভাবে এলাকায় বিলি হয়নি। খাবার তো বটেই, পর্যাপ্ত পানীয় জল না পাওয়ার অভিযোগেও সরব হয়েছেন স্থানীয়দের একাংশ।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানান, পাঁশকুড়া পুরসভা-সহ অন্যান্য জায়গা থেকে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে। একটু সমস্যা কোথাও হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টি যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয় সেদিকে নজর রয়েছে। পাঁশকুড়া পুরসভা থেকে ত্রাণ বিলির সময় হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমসিম খেত হয় পুরসভার কর্মীদের।