‘দান-ধ্যান, ক্ষতিপূরণ কিচ্ছু চাই না! শুধু বন্যা আটকান…’ মমতার কাছে আক্ষেপ আমতাবাসীর…| does not need compensation Amta residents complain to Mamata


শুভাশিস মণ্ডল: ‘আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না দিদি বন্যা আটকান। যাদের ঘর আছে তাদেরকেই ঘর দিন। আমাদের লাগবে না। দান ধ্যানের দরকার নেই।
আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না দিদি বন্যা আটকান। যাদের ঘর আছে তাদেরকেই ঘর দিন। আমাদের লাগবে না। দান ধ্যানের দরকার নেই।’ কিছুটা ক্ষোভ ও কিছুটা আক্ষেপের সুরেই বললেন এলাকার মানুষ। 

আমতা দু’নম্বর ব্লকের ঝামটিয়া রাউতাড়া গ্রাম সেই গ্রামে ঢুকতেই এলাকার মানুষের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ দেখা গেল। বন্যার জল আস্তে আস্তে কমেছে। কিন্তু বন্যা কবলিত মানুষের ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ তার থেকে দ্বিগুণ। গ্রামের রাস্তাঘাটে আস্তে আস্তে জেগে উঠেছে জমির ফসল, যা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এলাকায় গিয়ে ঢুকতেই বাড়ির গৃহবধূরা বেরিয়ে এসে বললেন, ‘ক্ষতিপূরণ চাই না দিদিকে বলুন দিদি যেন বন্যা বন্ধ করে। আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে না আমরা গতরে খেটে যেন খেতে পারি সেটা দেখুন। যাদের ঘর আছে তাদেরকে একটা করে ঘর দিতে বলবেন। যাদের ঘর আছে তাদেরকে দিদিকে ঘর দিতে বারন করুন, আমরা তাতেই খুশি। যাদের ঘর নেই তাদের ঘর দিন। বাথরুমের করে তাদেরকে দিদি দিক । আমাদের দিতে হবে না। বন্যা বন্ধ করুক দিদি। বাড়িঘর দিয়ে কি আমাদের অভাব কোনদিন মেটাতে পারবে, দিদি ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হলে ২,০০০ টাকা নিয়ে কি হবে। বন্যা ভবিষ্যতে যাতে না হয় সেটা দেখুন দিদি আমাদের দান ধ্যানের দরকার নেই।

আরও পড়ুন:Malda: মানিকচকে ৩ পঞ্চায়েত জলের তলায়, বাড়ছে গঙ্গার জল, এলাকা ছাড়ার নির্দেশ প্রশাসনের

উল্লেখ্য, আস্তে আস্তে অনেকটাই উন্নতি হচ্ছে আমতার বন্যা পরিস্থিতি। নিম্নচাপের বৃষ্টি সেইভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি বন্যাকবলিত এলাকায়। প্রধান সড়ক ঝিকিরা, হাওড়া রাস্তার জল সরে গিয়েছে। শুরু হয়েছে যান চলাচল, খুলছে বাজার দোকানপাট। গ্রামের ভিতরের রাস্তাঘাট বেশ কিছু জায়গায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ত্রাণ শিবির থেকে কমছে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয়কারী মানুষের সংখ্যা। যারা এখনও আশ্রয় শিবিরে আছেন তাদের নিয়মিত খাওয়ার ব্যবস্থাও এখন রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিনিয়ত আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। আশ্রয় শিবিরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলে সুবিধা অসুবিধা জানার পাশাপাশি তৎক্ষণাৎ বিষয়গুলি নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যদিও ইতিমধ্যে কিছু মানুষ নিজের নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন অবশিষ্ট টুকু নতুন করে ঠিক করার উদ্দেশ্যে।  বেশিরভাগ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এলাকার মানুষজন স্বাভাবিক  ছন্দে ফিরতে হয়তো কিছুদিন সময় লাগবে। তবে এলাকার বাজার দোকানপাট ক্রমশ ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার চেষ্টায়। সর্বোপরি আমতার বন্যা পরিস্থিতি অনেকটাই উন্নতি।

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *