জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পুজোর আগে জুনিয়র চিকিৎসকরা ফের পূর্ণ কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সোমবার টানা ৮ ঘণ্টা জেনেরাল বডি মিটিং করার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান তাঁরা। এর আগে স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে অবস্থান প্রত্যাহার করেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপর জরুরি কাজে ফিরে গেলেও, সোমবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর আবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন, Chief Secretary | Junior Doctors: ‘এটা মানতেই হবে….’ জুনিয়র ডাক্তারদের আরও সময় চেয়ে নিলেন মুখ্যসচিব!
মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে আরজি কর মামলার তদন্তে সিবিআই-য়ের ভূমিকা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা। জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, ‘সুপ্রিম কোর্টের তারিখ পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে তাঁরা তীব্র হতাশ। সুপ্রিম কোর্টে স্বাস্থ্য সচিব মিথ্যা ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে মরণাপন্ন রোগীকে আমরা আইসিইউ বেড দিই নি, আমরা তাঁকে চিকিৎসা দিই নি। কিন্তু কয়েকদিন আগে রাজ্যের মানুষ দেখেছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে অত্যাবশ্যক আইসিইউ বেড না থাকার ফলেই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এবং তারপর হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় রোগীর পরিবারের লোকেরা ডাক্তারদের ওপরেই চরাও হয়। ভয় মুক্ত পরিবেশ আমরা পায়নি। আজ থেকে আমরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফিরছি। আগামীকাল মহা সমাবেশের ডাক দিচ্ছি। কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল। শেষে সমাবেশ। ‘ তাঁরা এটাও জানায় যে, আরজি করে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্ত নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক পোষ্ট দেখা যাচ্ছে। পোষ্ট মর্টেম সময় উপস্থিত জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাক্ষর আছে এটা সত্য। কিন্তু সেটা ঠিক মত না করা হলে তার দায় তাঁদের ওপর বর্তায় না। অন্যদিকে, চিকিৎসকদের তরফে ১০ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। এই ১০ দফা দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ সময় না নিয়ে দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে আরজি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচার, রাজ্যের সমস্ত হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় রেফারেল ব্যবস্থা চালু, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ, হাসপাতালগুলিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবর্তে স্থায়ী পুরুষ ও মহিলা পুলিশ নিয়োগ, চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদে নিয়োগ, থ্রেট সিন্ডিকেটে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি বসিয়ে তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।
জুনিয়র চিকিৎসকরা চেয়েছিলেন সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে। কিন্তু তাঁদের দাবি, সেটা তাঁদের দেখতে দেওয়া হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সত্যিই কি দেখতে দেওয়া হয়নি, নাকি ফের সঠিক তথ্য না দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ ১১ অগাস্ট আরজি করে যান তৎকালীন পুলিস কমিশনার। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক করেন । সেদিন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। জুনিয়র ডাক্তাররা রিপোর্ট চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিস তাঁদের জানায়, আইনগত ভাবে তাদের রিপোর্ট দেওয়া যায় না। কিন্তু তারা চাইলে ৫/১০ জন রিপোর্ট দেখতে পারে। রিপোর্ট দেখাতে প্রস্তুত পুলিস।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)