নাবালিকার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ অক্টোবর বছর এগারোর ওই কিশোরী তাঁর মায়ের সঙ্গে এই জেলারই একটি প্রত্যন্ত গ্রামে তার পিসির বাড়িতে বেড়াতে যায়। অভিযোগ, পরের দিন তার পিসেমশাই ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাকে বাড়ি থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে একটি ফাঁকা আম বাগানে নিয়ে যায়। এরপর নাবালিকার হাত বেঁধে ও মুখে কাপড় গুঁজে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
বাড়িতে কাউকে ধর্ষণের কথা জানালে ভাইঝিকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকিও দেয় সে। ভয়ে ওই কিশোরী বাড়িতে কাউকে কিছু জানায়নি। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘মেয়ে ভয়ে এতদিন কিছু না বললেও গত বুধবার ওর শরীর খারাপ হওয়ায় তাকে ওর মা বারবার জিজ্ঞেস করলে সে সব কথা খুলে বলে। ওর পিসেমশাই এরকম জঘন্য কাজ কী ভাবে করল এটাই ভাবতে পারছি না। সম্পর্কে ভগ্নিপতি হলেও আমি ওর কঠোর শাস্তি চাই।’
ঘটনার প্রায় ১২ দিন পরে বৃহস্পতিবার চোপড়া থানায় অভিযুক্ত আত্মীয়র বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ জানান নির্যাতিতার বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পরে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে চোপড়া থানার পুলিশ। কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।