নিহত গোবিন্দের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে প্রায় ৭০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল স্থানীয় যুবক বছর ৩৫-এর উত্তম পাত্র। কিন্তু সময় মতো টাকা পরিশোধ না করায় ধারের টাকা ফেরতের জন্য কিছুদিন ধরে উত্তমকে চাপ দিচ্ছিলেন গোবিন্দ। বৃহস্পতিবার সেই ধারের টাকা শোধ করার নাম করে ও মদ খাওয়াবে বলে গোবিন্দকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় উত্তম ও তার সঙ্গীরা। রাত সাড়ে ৯টা নগাদ স্থানীয় দেউলপোতা মাছের আড়ত লাগোয়া রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় গোবিন্দকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে খবর দেন স্থানীয়রা।
রাতের মদের আসরে গোবিন্দের সঙ্গে আরও ৫ জন উপস্থিত ছিল বলে জানা গিয়েছে। আসরে মদ খেতে খেতে টাকা শোধের প্রসঙ্গ উঠতেই উত্তম ও গোবিন্দর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। সেই সময়ে উত্তম পাশে পড়ে থাকা ইট তুলে নিয়ে গোবিন্দর মাথায় আঘাত করে। বাকিরাও মারধর করে রাস্তায় ফেলে দেয়। পুলিশ এখনও পর্যন্ত উত্তম পাত্র ও বাটুল মাইতিকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের স্ত্রী শিবানী বলেন, ‘ও বাড়িতে ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ উত্তম ফোন করে ডাকে। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ একজন ফোন করে আমাদের ঘটনার কথা জানায়।’
ছেলে ইন্দ্রজিৎ পাত্রের অভিযোগ, ‘পরিকল্পিত ভাবে টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে অভিযুক্ত।’ তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ছুটে গিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় বাবাকে উদ্ধার করে কাঁথি হাসপাতালে নিয়ে যাই।’ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যে বাবার মৃত্যু হয়। হাসপাতাল যাওয়ার পথে উত্তম ও তাক সঙ্গীরা মেরেছে তা বলেছে।’