এ দিন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি জানিয়েছেন, ‘দানা’-র জন্য জেলায় কোনও গুরুতর সমস্যা হয়নি। তবে জেলাজুড়ে কম-বেশি ঘর-বাড়ি, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝোড়ো হাওয়ার কারণে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। একাধিক ইলেকট্রিক পোস্ট ভেঙেছে। কোথাও কোথাও কিছু গাছও ভেঙে পড়েছে। রামনগর-১ ব্লকের বিডিও পূজা দেবনাথ বলেন, ‘গোটা পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির আগেই বহু মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। সমুদ্রে যাতে কেউ কোনওভাবেই নামতে না পারে তার জন্য বাঁশ দিয়ে সৈকতে ঢোকার পয়েন্টগুলো এখনও আটকে রাখা হয়েছে। রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়লে যাতে দ্রুত তা সরানো যায়, সেজন্যও যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
পাশাপাশি দানা-র জন্য হোটেল বুকিং আপাতত বন্ধ দিঘায়। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটকদের একাংশের মনে প্রশ্ন উঠছে, সপ্তাহান্তে তাঁরা কি দিঘা এবং মন্দারমণিতে হোটের বুকিং করতে পারবেন? দিঘার হোটেল মালিকরা জানাচ্ছেন, ২৫ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে দিঘায় হোটেল বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে। ২৬ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে হোটেলগুলিতে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। দিঘা হোটেল মালিক সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ‘২৬ তারিখ থেকেই হোটেলে এসে থাকতে পারবেন পর্যটকরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে ধীরে ধীরে।’