RG Kar Protest,ডাক্তারদের নয়া সংগঠন নিয়ে কী বললেন কিঞ্জল-অনিকেতরা – junior doctors mass convention on rg kar issue


অনশন প্রত্যাহারের পাঁচ দিনের মাথায় গণ কনভেনশনের ডাক দিয়েছিল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফোরাম (ডব্লুবিজেডিএফ)। শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অডিটোরিয়ামে এই গণ কনভেনশন হয়। সেখান থেকেই জুনিয়র ডাক্তারদের নয়া মঞ্চ ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর ভূমিকা ও অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদাররা।এ দিনের মঞ্চ থেকে কিঞ্জল নন্দকে বলতে শোনা যায়, মানুষের এ বার একটি পক্ষ বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, ‘মানুষকেই ঠিক করতে হবে, তাঁরা প্রতিবাদ-ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন, না থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে থাকবেন।’

কিঞ্জলের দাবি, ৯ অগস্ট রাতে আরজি করে যা ঘটেছিল, তা থ্রেট কালচারেরই প্রতিফলন। অনেকেই এখন তা অস্বীকার করতে পারেন। কিন্তু গত ৩-৪ বছর ধরে আরজি করে কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ কিঞ্জল নন্দ বলেন, ‘আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কেউ কেউ বলছেন, আরজি করে আরেকটা থ্রেট কালচারের জন্ম হচ্ছে। কিন্তু সত্যি তেমন হলে, যে অ্যাসোসিয়েশনের কথা শুনতে পাচ্ছি, তারা যে কথাবার্তা বলার সুযোগ পাচ্ছে তা বলার সুযোগ পেত না।’

অনিকেত মাহাতোও বলেন, তাঁরা সুস্থ ক্যাম্পাস চাইছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চাই একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানোর জন্য কেন একটা সরকার এত উদগ্রীব। এই ঘটনার উদ্দেশ্য কী, তা আমরা জানতে চাই। রাজ্য প্রশাসন একটা থ্রেট কালচারের পক্ষ নিতে চাইছে। নবান্নে সভাঘরে তা দেখেছি। আমরা তার বিরোধিতা করছি।’

কিঞ্জলের সুরেই আরেক প্রতিবাদী মুখ দেবাশিস হালদার এই অ্যাসোসিয়েশনকে ‘ভুঁইফোড়ের মতো’ গজিয়ে ওঠা সংগঠন বলে জানান, ‘থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল যারা, নবান্ন সভাঘরে আমরা যাদের নটোরিয়াস ক্রিমিনাল বলেছিলাম, শুধু আরজি করে নয় প্রতিটি কলেজে তারা সিন্ডিকেট চালায়, তারা প্রেস ক্লাবে নতুন সংগঠন করেছে।’

‘থ্রেট কালচার’-এর অভিযোগ উড়িয়ে ডাক্তারদের নয়া মঞ্চের আত্মপ্রকাশ
দেবাশিসের হুঁশিয়ারি, কেউ যেন ধরে না নেয়, আন্দোলন গতি হারিয়েছে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকে আরও জোরাল করারও ডাক দেন তিনি। বলেন, ‘এতটাই জোরাল করতে হবে আর যেন থ্রেট কালচারের নেতারা মাথা তুলতে না পারে। এটা আমাদের সুনিশ্চিত করতে হবে।’

সন্দীপ ঘোষের সাঙ্গপাঙ্গরা প্রেস ক্লাবে বাইট দিচ্ছে বলেও এদিন বলতে শোনা যায় দেবাশিস হালদারকে। তিনি বলেন, ‘নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের এক প্রকার পক্ষ নিয়েছিলেন। কুণাল ঘোষের সঙ্গে কয়েকজন মিটিংও করে এসেছেন।’

শনিবারই ডাক্তারদের নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করে। কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকও করে ‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’। সেই নতুন সংগঠনের অন্যতম সদস্য ইন্টার্ন সৌরভ দাস এদিন প্রেস ক্লাব থেকে মন্তব্য করেন, ‘কেউ কেউ বকলমে স্বাস্থ্যভবন চালানোর জন্য বা বকলমে কলেজ প্রশাসন চালানোর জন্য, কমিটিতে জায়গা পেতে আন্দোলেন মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছেন। আমরাই থ্রেট কালচারের শিকার।’ অনেকেই বলছেন, এ দিন থেকে কার্যত ডাক্তার বনাম ডাক্তারদের একটা আমনা-সামনা শুরু হয়ে গেল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *