Anti-rabies Vaccine: রাজ্যে অমিল অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন! ঘোর সংকট.. ‘মারণ’ ভাইরাস ছড়ায় কীভাবে…


অয়ন শর্মা: রাজ্যের বিভিন্ন জেলার গ্রামীণ হাসপাতালে, অমিল অ্যান্টি-র‍্যাবিস ভ্যাকসিন। দীর্ঘ এক মাস ধরে এই ভ্যাকসিনের আকাল দেখা দিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবরা, অশোকনগর, মধ্যমগ্রাম, ওদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, ভাঙ্গড়  ও হাওড়ার বেলুড়- প্রত্যেকটি জেলায় গ্রামীণ হাসপাতালে মিলছে না অ্যান্টি র‍্যাবিস ভ্যাকসিন।

Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News

মূলত এই ধরনের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে ৪টি ডোজ দেওয়া হয়। যার মধ্যে কেউ পেয়েছেন মাত্র একটি ডোজ, আবার কেউ পেয়েছেন দুটি ডোজ। প্রত্যেকটি গ্রামীণ হাসপাতালের তরফ থেকে রোগীদের রেফার করে দেওয়া হচ্ছে কলকাতায় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিনের স্টক নেই তাদের কাছে। যার জেরে দূর দূরান্ত থেকে সাধারণ মানুষ এই ভ্যাকসিন নিতে ছুটে আসছেন কলকাতায়। যার জেরে হয়রানি শিকার হতে হচ্ছে তাঁদের। গ্রামীণ হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন অমিল নিয়ে অভিযোগ করেছেন একাধিক রোগীর পরিবার পরিজন।

গোটা রাজ্যের ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাচ্ছে এখন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের অনেক কর্মী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এভাহবে গোটা রাজ্যের মানুষের এই ভ্যাকসিনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে বেলেঘাটা আইডিতেও এই ভ্যাকসিনের সংকট তৈরি হবে না তো! তখন কী করে সামাল দেওয়া হবে পরিস্থিতি? উঠছে প্রশ্ন। 

আরও পড়ুন, Deadly love affairs killings: ১৫ থেকে ৩৫ টুকরো! ড্রাম-সিমেন্ট থেকে ফ্রিজ-সেদ্ধ! হাড়হিম ৮ হত্যা, শিউরে উঠেছে গোটা দেশ…

প্রসঙ্গত, ‘মারণ’ ভাইরাস হিসেবেই পরিচিত র‍্যাবিস। যার সাম্প্রতিক উদাহরণও রয়েছে। দু-দুটি ঘটনা ঘটেছে। একটি তামিলনাড়ুতে। আরেকটি নয়ডায়। তামিলানাড়ুর কোয়েম্বাটুরের সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্ক রোগে আক্রান্ত এক যুবক নিজেই নিজের গলা কেটে আত্মঘাতী হন। রামচন্দ্র নামে ৩৫ বছরের ওই যুবককে পাগলা কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক রোগে অর্থাৎ Rabies-এ আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা অবস্থায় আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন ওই যুবক। শেষে নোটিস বোর্ডের প্যানেল ভেঙে সেই ভাঙা টুকরো দিয়ে নিজের গলার নলি কেটে আত্মঘাতী হন ওই যুবক। 

ওদিকে নয়ডায় গরুর দুধ খেয়েছিলেন এক মহিলা। তার কয়েকদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর! পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাঁর শরীরে মারণ Rabies ভাইরাসের উপস্থিতি। জানা যায়, ওই মহিলার শরীরে মারণ Rabies ভাইরাস এসেছে গরুর দুধ থেকে। কারণ ওই গরুটিকে কয়েকদিন আগেই রাস্তার কুকুরে কামড়েছিল। এই ঘটনা প্রমাণ করছে যে, শুধু পাগলা কুকুরে নয়, কোনও পশুর শরীরে যদি এই মারণ Rabies ভাইরাসের উপস্থিতি থাকে, তবে তার দুধ পান করলেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। দুটি ঘটনাই যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তার উপর রাজ্যে ভ্যাকসিনের অমিল, আরওই বাড়াচ্ছে উদ্বেগ।

আরও পড়ুন, Meerut Husband Murder Update: ‘উঠে আসছে পোড়া চামড়া! ৩০ বছরে এমন দেহ দেখিনি!’ সৌরভের ময়নাতদন্তে ভয়ংকর হাড়হিম রিপোর্ট…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *