আশ্চর্য অধ্যবসায়! শ্রাবন্তী মাধ্যমিক দিচ্ছে হাসপাতাল থেকেই, অঞ্জলি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছল অ্যাম্বুল্যান্সে…।two madhyamik candidates met an accident differently appearing board exam in hardship purulia south 24 parganas


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘর থেকে খাটিয়ায় চেপে বাড়ির সামনে দাঁড়ানো অ্যাম্বুল্যান্সে। পরে সেই অ্যাম্বুল্যান্সে করে বাড়ি থেকে পরীক্ষাগ্রহণ কেন্দ্রে। এই বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমেই এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে বলরামপুরের লালিমতি বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী অঞ্জলি। এ ছবি পুরুলিয়ার। একই ছবি গোসাবাতেও। গোসাবার শ্রাবন্তী বর্মন পায়ের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আজ, হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে শ্রাবন্তী।

আরও পড়ুন: Bangladesh: চিনের দুই অঞ্চলের একটিকে অরুণাচলের, অন্যটিকে কাশ্মীরের অংশ হিসেবে দেখাচ্ছে বাংলাদেশ? কী করল ক্ষুব্ধ বেজিং?

অঞ্জলির কী হয়েছে? গত ২১ ডিসেম্বর বলরামপুর চকবাজার এলাকায় টিউশন পড়ে ফেরার পথে লরির ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিল অঞ্জলি সরেন। ডান পায়ে গুরুতর ক্ষত হয় অঞ্জলির। এখন স্টিলের রড দিয়ে বাঁধা রয়েছে তার পা। সারাদিনরাত মামাবাড়ি বুরুডি গ্রামে বিছানার একজায়গায় শুয়ে-বসে কোনও রকমে মাধ্যমিকের প্রস্তুতি নিয়েছে সে। তবে তার আবেদনে সাড়া দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা-সহ তার আলাদা ঘরে বসে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করল প্রশাসন। 

অঞ্জলির পরীক্ষার সিট পড়েছে চণ্ডীতলা শিক্ষানিকেতনে। সেখানে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছে বলরামপুর ব্লক প্রশাসন। বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার পর্যন্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে তাকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে পৌঁছে দেওয়া হবে। ওই স্কুলের একটি আলাদা কক্ষে সে পরীক্ষা বসছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হেলান দেওয়া খাট ও টেবিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে সে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারে।

আরও পড়ুন: Baba Vanga Predictions: ‘বাবা’ মানে ‘মা’? ২০২৫-য়ে ভয়ংকর কীসের সূচনা? পৃথিবী ধ্বংসের দিন-তারিখ মিলিয়ে দিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা…

আর শ্রাবন্তীর? পথদুর্ঘটনায় আহত হয়েছিল  গোসাবার শ্রাবন্তী বর্মন। টানা তিন মাস বই পড়তে পারেনি সে। আজও সে অসুস্থ। তবে অসুস্থ অবস্থাতেই হাসপাতালের বেডে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে সে। গোসাবা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রাবন্তী নভেম্বর মাসে পথদুর্ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিল। তারপর থেকে দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসার জন্য সে ভর্তি থাকে হাসপাতালে। এর মধ্যে তিন মাস বইয়ে হাতই ছোঁয়াতে পারেনি সে। একথা জানান পরীক্ষার্থী বাবা। আজ, মাধ্যমিকের প্রথম দিন। আজ হাসপাতালের বেডে বসেই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম পেপার বাংলা পরীক্ষা দিচ্ছে সে। নদী পারাপার করতে শারীরিক সমস্যা হতে পারে, এ কারণে গোসাবা থানা ও স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাকে গোসবা হাসপাতাল থেকেই পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করা হয়।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *