ঘন ঘন নাকে আঙুল দেন? এই অভ্যাসই বাড়াতে পারে অ্যালঝাইমারের ঝুঁকি…


জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাকে আঙুল দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে? এই অভ্যাস শুধু একটি কুঅভ্যাস নয়। এমনটাই বললেন ডাক্তারমহল। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী এই অভ্যাসই মস্তিষ্কের কঠিন রোগ ডেকে আতে পারে।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই জানা গেছে। এই বিষয় নিয়ে আগেও অনেক গবেষণা হয়েছে। আগেও ডাক্তারেরা সতর্ক করেছেন। এই গবেষণার সংখ্যাও বেড়ে হয়েছে এক ডজন। আবারও সতর্কতা জাড়ি করলেন ডাক্তারমহল। ডাক্তারদের মতে মানুষের এই অভ্যাস অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীরের। সব গবেষণার ফলাফলও কাছাকাছি। এই অভ্যাস দীর্ঘদিন চালিয়ে গেলে ডিমনেশিয়ার মতো কঠিন রোগ বাসা বাঁধতে পারে। এই রোগ অ্যালঝাইমার ডিজিজ নামেও পরিচিত। 

আরও পড়ুন-রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের, উপকৃত হবেন কোটি কোটি মানুষ

কী জানা গিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণায়?
গবেষণায় জানা গেছে যে ঘন ঘন নাক খোঁটার ফলে আমাদের নাকের টিস্যু পাতলা হয়ে যায়। ফলে খুব সহজেই জীবানু আমাদের মস্তিষ্কে প‍ৌঁছাতে পারে। ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই বিষয় গবেষণা করেছেন। এই গবেষণায় জানা গেছে যে, ডিমনেশিয়া রোগীদের মস্তিষ্কে একটি বিশেষ ধরণের প্রোটিন জমা বাঁধছে। ডাক্তারদের মতে টাও নামের এই প্রোটিন কিছু প্যাথোজেনের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে। অর্থাত্‍ শরীরের বাইরে থেকে কোনও না কোনও জিনিস থেকে প্যাথোজেনের মাধ্যমে ব্রেনে ঢোকে। ভাবছেন ঢোকার পথ কোথায়? ডাক্তারদের মতে নাকই এর জন্য দায়ী।  নাক দিয়ে সোজা মস্তিষ্কে পৌঁছায়, এবং নিউরোইনফ্লেমেশন অথবা স্নায়ুর প্রদাহ ঘটায়। এই কারণেই ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। এছাড়া ঘন ঘন নাক খুঁটলে, নাকের টিস্যু পাতলা হয়ে যায়। ডা. সেন্ট জন এবং তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন নাকের লোম তুললেও, নাকের টিস্যুর ক্ষতি হতে পারে। 

আরও পড়ুন-আধার নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, ভারতের নাগরিক হতে গেলে থাকতে হবে এই ৪ নথি

নাক খোঁটার মূল কারণ, নাকের নোংরা পরিষ্কার করা। এই অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁরা হাত না ধুয়েই নাকে আঙুল দেন। এতেই বাড়ে সমস্যা। নাকের মাধ্যমেই সংক্রামণ ঘটাতে পারে। সংক্রামণ দুইভাবে ঘটতে পারে। একটি হল তলের মাধ্যমে অন্যটি বায়ুর মাধ্যমে। তলের মাধ্যমে সংক্রামণ ছোঁয়াচে হয়। আর  এই রোগের মাধ্যমেই ডিমেনশিয়া রোগ হয়ে থাকে। এই রোগকে অ্যালজাইমার রোগও বলা হয়ে থাকে। এটি ধীরে ধীরে স্মৃতি শক্তি এবং চিন্তাধারা হ্রাস করে। এছাড়া মানুষের মেজাজ এবং ব্যবহারের পরিবর্তন ঘটায়। বায়োমলিকিউল জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় বিজ্ঞানীরা বিশেষ কিছু প্রমাণ তুলে ধরেছেন। এই জার্নালে এটাও জানিয়েছে যে নাকের ভিতর ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার পেছনে আমাদের আঙুলের কতটা ভুমিকা রয়েছে। সেই ব্যাকটেরিয়াই পরবর্তীকালে স্নায়ুর প্রদাহের কারণ হয়ে ওঠে।  

অস্ট্রেলিয়ার গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটির গবেষণায় জানা গেছে এই ব্যাকটেরিয়া ক্ল্যামেডিয়া নিউমোনিয়া নামে পরিচিত। এই জীবাণু নিউমোনিয়া রোগের জন্য দায়ী। পরবর্তীকালে এই রোগ ডিমেনশিয়ার জন্যও দায়ী। এই পরীক্ষাটি একটি ইঁদুরের মাধ্যমে করা হয়। পরীক্ষায় জানা গেছে, এই জীবাণু অলফ্যাক্টারি নার্ভের মাধ্যমে  মস্তিষ্কে পৌঁছায়, যা এপিথেলিয়ামকে নষ্ট করে ইনফেকশনকে আরও গুরুতর করে তোলে। 

 

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *