জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আজ সপ্তমী। বাঙালির কাছে এই দিন মানেই মহাশক্তির আবাহন, মহাসপ্তমীর উচ্ছ্বাস। অন্যদিকে সারা ভারতে নবরাত্রির এই সপ্তম দিনে দেবীর সপ্তম রূপ মা কালরাত্রি পূজিতা হন। তিনি অশুভ শক্তি ধ্বংসের মূর্তি এবং শুভের বিজয়ী রূপ।
পুরাণ অনুযায়ী, যখন অসুররা দেবতা ও মানবজগতে ত্রাস সৃষ্টি করে, তখন দেবী দুর্গা ক্রোধে এক ভয়ংকর রূপ নেন। সেই রূপই মা কালরাত্রি। তিনি জন্ম নেন অশুভ শক্তি ধ্বংস করার জন্য। ভয়ঙ্কর চেহারার আড়ালে তিনি ভক্তদের রক্ষা করেন আর আশীর্বাদ দেন।
আরও পড়ুন: ধুপকাঠির ধোঁয়ায় শান্তি নয়, ফুসফুসে জমছে বিষ! সিগারেটের থেকেও মারাত্মক: রিপোর্ট
মা কালরাত্রির রূপ ভয়ঙ্কর হলেও হৃদয় অতি কল্যাণময়। তাঁর শরীর অগ্নিশিখার মতো কালো, কেশ খোলা, চোখে আগুনের ঝলক। তিনি চার হাতে তলোয়ার ও লৌহ অস্ত্র ধারণ করেন, আর অন্য দুই হাতে ভক্তকে দেন অভয় ও বরদান। তাঁর বাহন গাধা।
সপ্তমীর দিনে ভক্তরা লাল ফুল, রক্তচন্দন ও গুড়-আটার নৈবেদ্য অর্পণ করে, প্রদীপ জ্বালিয়ে, মা কালরাত্রির নাম জপ করলে মা ভক্তকে ভয়মুক্ত করেন। ভক্তরা পায় সাহস ও আত্মবিশ্বাস, জীবনের অন্ধকার থেকে মুক্তি এবং শত্রুনাশের আশীর্বাদ।
আরও পড়ুন: মিষ্টি কিন্তু স্বাস্থ্যকর! পুজোয় পেট ভরে খান নাড়ু থেকে মালপোয়া, কীভাবে?
মা কালরাত্রির মন্দির ভারতজুড়ে ছড়িয়ে আছে, বিশেষ করে উত্তর ভারত ও মধ্য ভারতে তাঁর আরাধনা বেশি দেখা যায়। ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এই মন্দিরগুলোতে সপ্তমীর দিনে বিশেষ পূজা-অর্চনা করলে ভয়, শত্রু ও অশুভ শক্তি দূর হয়।
মা কালরাত্রির ধ্যান মন্ত্র-
একবেনী জপাকর্ণপূরং লোহিতাক্ষ্যাং বরাভয়দাম্।
মহাদংশটকারালবদনাং কালরাত্রিং ধ্যায়ামি আহম্॥
অর্থ-
আমি ধ্যান করি সেই দেবী কালরাত্রির,
যাঁর এক বিনুনি করা দীর্ঘ কেশ,
কর্ণে জপ ফুলের মতো লাল আভা,
চোখ রক্তবর্ণ উজ্জ্বল,
যিনি ভক্তকে দেন বরদান ও অভয়,
যাঁর বিশাল মুখ ভয়ংকর দাঁতের কারণে ক্রুদ্ধ রূপ ধারণ করেছে।
তিনি ভয়ংকর রূপে অশুভকে ধ্বংস করেন,
কিন্তু ভক্তকে দেন সুরক্ষা, সাহস ও মুক্তির আশীর্বাদ।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)