তথাগত চক্রবর্তী: বিয়ের মাত্র আট মাসের মাথায় এক গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। মৃতার নাম শুভ্রা সরদার। অভিযোগ, ফোনে কথা বলা নিয়ে স্বামী রানা সরদারের সঙ্গে শুভ্রার দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্ক রয়েছে—এই সন্দেহে শুভ্রার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালানো হত বলে অভিযোগ পরিবারের।
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে বারুইপুর থানার কাটাখাল এলাকার বাসিন্দা শুভ্রা সরদারের সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার কেলেগোড় এলাকার বাসিন্দা রানা সরদারের বিয়ে হয়। তার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ থেকে দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এলাকায় মেলা ও পৌষ মাসে বাপের বাড়িতে থাকবে—এই কারণ দেখিয়ে ১৭ ডিসেম্বর বুধবার শুভ্রাকে বাপের বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁর মা। কিন্তু রবিবার ২১ তারিখ শ্বশুর ভদ্রেশ্বর সরদার এসে জোর করে তাঁকে আবার নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরদিন সোমবার প্রতিবেশীর ফোনে শুভ্রার মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর বাবা-মা।
পরিবারের অভিযোগ, শুভ্রার শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং তাঁকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় নরেন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মৃতার বাবা মনা সরদার লিখিত অভিযোগে স্বামী রানা সরদার, শ্বশুর ভদ্রেশ্বর সরদার, শাশুড়ি সুক্কুলি সরদার ও ভাসুর রাকেশ সরদারের নাম উল্লেখ করেছেন। মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিস।
আরও পড়ুন:Breaking News LIVE Update: কেমন চলছে বঙ্গে SIR? দেখতে শহরে কমিশন কর্তারা
উল্লেখ্য, চলতি বছরই নভেম্বর মাসে কুলতলি থানা এলাকার নাপিতখালি গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় এক গৃহবধূর দেহ। মৃতের নাম অর্পিতা হালদার। বকুলতলা থানা এলাকার ভবানীমারি তাঁর বাপের বাড়ি। বছর চারেক আগে নন্দ হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল অর্পিতার। তাদের দুই বছরের কন্যা সন্তানও রয়েছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী–স্ত্রীর সম্পর্কে নানান কারণে অশান্তি চলছিল। এরই মধ্যে প্রতিবেশী যুবক সুব্রত সরদারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অর্পিতা। বিষয়টি জানাজানি হতেই অশান্তি আরও বেড়ে যায়।
এক মাস আগে অশান্তির জেরে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান অর্পিতা। তাঁর খোঁজে বাপের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছুটতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত উড়িষ্যার একটি এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে আনা হয়। মাত্র এক সপ্তাহ আগে ফের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। মঙ্গলবার সকালে ঘরের মধ্যে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তাঁর ছোট মেয়ে। চিৎকার শুনে ছুটে আসে পরিবার। দ্রুত কুলতলি ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
