পড়া না পারায় ৭ বছরের শিশুকে বেধড়ক মার গৃহশিক্ষকের! শেষে দুই হাত ধরে… ভয়ংকর! ভাইরাল ভিডিয়ো.. A student reportedly beaten mercilessly by a private tutor in Andal video goes viral


চিত্তরঞ্জন দাস:  পড়া মুখস্থ হয়নি কেন? ৭ বছরের শিশুকে বেধড় মার! ভাইরাল ভিডিয়োয় নিন্দার ঝড়। অভিযুক্ত গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিসের দ্বারস্থ হলেন নিগৃগীত শিশুর বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে।

Add Zee News as a Preferred Source

আরও পড়ুন:  BIG UPDATE on OBC Certificate: ২০১০-এর পরে দেওয়া OBC সার্টিফিকেট কি গ্রহণযোগ্য? SIR আবহে কোর্টের বিরাট রায়…

জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির বাড়ি অন্ডালের র জামবাদ মাঝি পাড়া এলাকায়। গত সোমবার গ্রামেরই আর এক ছাত্রের বাড়ি গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল সে। পড়া মুখস্ত বলতে বসেছিলেন গৃহশিক্ষক। অভিযোগ, বলতে না পারার দুটো হাত ধরে ওই শিশুটিকে চর থাপ্পড় মারেন গৃহশিক্ষক। এমনকী, পিঠেও নির্মমভাবে মারধর করা হয়। শেষে দুটো হাত ধরে শিশুটিকে ছুঁড়ে ফেলেন দেন গৃহশিক্ষক।

এদিকে ছাত্রের বাড়িতে পড়াচ্ছিলেন ওই গৃহশিক্ষক, সে গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেয়। সেই ভিডিয়ো-ই এখন ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ওই ছাত্রের দাবি, পড়া না করলে এভাবেই নাকি মারধর করেন ওই গৃহশিক্ষক। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীত শিশুটির পরিবার। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান।

এর আগে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় একটি স্কুলে পড়ুাদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠেছিল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ২১ জনকে ভর্তি করতে হয়েছিল হাসপাতালে। প্রতিবাদে স্কুলের গেটে তালিকা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত  বিপ্লব পণ্ডা এগরার অস্তিচক সুরেন্দ্র যোগেন্দ্র বিদ্যাপীঠের  ইংরেজি শিক্ষক। অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের ক্লাস নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই পড়া না পারার দোহাই হয়ে পড়ুয়াদের বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। পড়ুয়াদের দাবি, সেদিন বিপ্লবের কোনও  ক্লাসই ছিল বা। হঠাত্‍ করে ক্লাসে ঢুকে পড়া হয়েছে কিনা, জানতে চান। এরপর ছাত্রছাত্রীরা পড়া না পারলেই রীতিমতো তাণ্ডব চালান ওই শিক্ষক।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে দেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগরা থানার পুলিস। কিন্তু পুলিসের কথা শুনতেও রাজি ছিলেন না বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের দাবি ছিল,  ছাত্রছাত্রীরা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত ওই শিক্ষক স্কুলে বন্দী থাকবে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে মদ্যপানের অভিযোগও তোলা হয়। যদিও পুলিস রাতে শিক্ষককে আটক করলে সাময়িকভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গিয়েছে।

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মধ্যপ্রদেশে শিক্ষকের হাড়হিম কাণ্ড সামনে আসে। খুদে পড়ুয়ার উপর অমানবিক অত্য়াচার। ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রকে নিয়ম শেখানোর নামে নিষ্ঠুর শাস্তি দিচ্ছেন শিক্ষক। শিশুটিকে একটি টেবিলের নিচে চেপে ধরে কাঠের লাঠি দিয়ে তার পিঠে বারবার আঘাত করা হচ্ছে। শিশুটি যন্ত্রণায় চিৎকার করলেও শিক্ষক থামেননি। এই দৃশ্য দেখে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা হতভম্ব হয়ে গেলেও কেউ শিশুটিকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। 

আরও পড়ুন:  Kolkata Christmas Traffic and Security: একটা মাছিও যেন গলতে না পারে! বাংলাদেশে অশান্তির আবহে কলকাতায় বড়দিনে বাড়তি নিরাপত্তা! বন্ধ রাস্তা, ১৫০০ পুলিসকর্মী…

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *