জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলার পথেই দিল্লি! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘মা ক্যান্টিনে’র আদলেই এবার চালু হল রাজধানীতে। আজ, বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর জন্মদিনে শহরের ৪৫ জায়গায় চালু হল এই ক্যান্টিন। আগামী ৫৫ জায়গায় চালু হবে অটল ক্যান্টিন।
কথায় বলেন, রোটি, কাপড়া অউর মকান। তবে কাপড়া অউর মকান তো দূর, এদেশে রোটি অর্থাত্ দু’বেলার অন্ন সংস্থান করতেই কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয় বহু মানুষকে। বছরশেষে তাঁদের জন্য় নিঃসন্দেহে। দিল্লিতে মাত্র পাঁচ টাকাতেই মিলবে ভরপেট খাবার। ভাত, ডাল, রুটি, সবজি ও আচার। দিনে পাঁচশো জনকে খাবার পরিবেশ করা হবে।
দিল্লির মখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বলেন, এই ‘১০০টি অটল ক্যান্টিনে গরিব, শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের পরিবার দু-বেলা দুমুখো খাবার পেট ভরে খেতে পারবেন। তাঁর কথায়, ‘অটল ক্যান্টিন দিল্লির আত্মা হয়ে উঠবে। আর কেউ অভুক্ত থেকে ঘুমোতে যাবে না’।
এদিকে বাংলায় পাঁচ টাকাও লাগে না। দিল্লিতে অটল ক্যান্টিনে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেই একই খাবার মা ক্যান্টিনে পাওয়া যায় কার্যত বিনা পয়সায়। বস্তুত, দিল্লির অনেক আগে থেকে মা ক্যান্টিন চলছে এ রাজ্য। একুশের বিধানসভা জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। এরপর করোনা আবহেই অর্থ দফতরের উদ্য়োগে রাজ্যজুড়ে চালু হয় মা ক্য়ান্টিন।
মা ক্যান্টিনে দুপুরে য়ে ডাল, ভাত, তরকারি খেতে গেলে কোনও পয়সাই দিতে হয় না। শুধুমাত্র ডিমের জন্য পাঁচ টাকা করে নেয় সরকার। দিল্লির অটল ক্যান্টিনের মেনুতে কিন্তু ডিম নেই। খাওয়াদাওয়া পুরোটাই নিরামিষ। আর তাতেই খরচ ৫ টাকা!
এদিকে ১ জানুয়ারি থেকে দিল্লি সরকারি উদ্যোগ চালু হচ্ছে ‘ভারত ট্যাক্সি’। ওলা, উবার ও র্যাপিডোর বিকল্প ক্যাব পরিষেবা। এই পরিষেবাও কিন্তু বাংলা চালু হয়ে দিয়েছে আগেই। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্পকে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রও।
হলুদ ট্যাক্সির জমানা শেষ। এখন ওলা, উবার ও র্যাপিডোর মতো অ্যাপ-ক্যাবের রমরমা। কিন্তু তাতেও আবার ভাড়ার উপরে চড়া হারে কমিশন দিতে হয় চালকদের। যা নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছিল চালক সংগঠনগুলি। ২০২৩ সালে হলুদ ট্যাক্সির চালকদের পাইলট প্রোজেক্ট হিসেবে ‘যাত্রীসাথী’ প্রকল্পের কাজ শুরু করে সরকার। অল্প দিনেই সেই অ্যাপ রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। কলকাতা ছাড়াও আসানসোল, শিলিগুড়ি এবং দুর্গাপুর শহরে মিলছে পরিষেবা।
কোনও পার্থক্য নেই। দিল্লির ভারত ট্যাক্সিও যাত্রীসাথীর মতোই। ‘জিরো-কমিশন’ মডেলে এই অ্যাপ পরিচালনার দায়িত্বে ‘সহকার ট্যাক্সি কোঅপারেটিভ লিমিটেড’। এই অ্যাপের মাধ্যমে গাড়ি, অটো-রিকশা এবং বাইক। এরপর পিক-আপ এবং ড্রপ-অফ লোকেশন দিয়ে পছন্দের যানটি বেছে নিতে হবে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)
