কামালগাজির পেপসি কারখানায় (Pepsi Factory) ভয়াবহ গ্য়াস লিক। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময় তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানা গিয়েছে। আবারও নতুন করে গ্যাস লিক হতে শুরু করেছে।
হাইলাইটস
- কামালগাজির পেপসি কারখানায় ভয়াবহ গ্য়াস লিক
- কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি
- এলাকা ঘিরে রেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা
ঠিক কী হয়েছিল?
সোমবার বিকেলে গড়িয়ার (Garia) কামালগাজিতে ওই ঠান্ডা পানীয়ের কারখানা থেকে আচমকা অ্যামোনিয়া গ্যাস লিক করতে থাকে। সেই সময় কারখানায় কাজ করছিলেন কর্মীরা। হঠাৎই তাঁরা ঝাঁঝালো গন্ধ পান। এরপর সেই গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও গ্যাসের গন্ধ এতটাই বেশি ছিল যে তা সম্ভব হয়নি। বরং গ্যাস লিক বন্ধ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তাঁরা। মুহূর্তের মধ্যে গ্যাস ভরে যায় গোটা কারখানায়। একের পর এক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানা ও দমকলে। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। তড়িঘড়ি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করে দমকলের আধিকারিকরা। কোথা থেকে গ্যাস লিক হচ্ছিল, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। কাজ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই দমকলকর্মী।
দলকল কর্মীদের একাংশ গ্যাস মাস্ক পরে কারখানায় ঢোকার চেষ্টা করেন। এদিকে গ্যাস ছড়িয়ে পড়তে থাকে এলাকায়। বাইরের লোক যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারেন সেজন্য গোটা এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। এমনকী, অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এলাকায় গাড়ি চালানো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মুখে রুমাল বেঁধে ঘুরছেন। নতুন করে যাতে কেউ অসুস্থ হয়ে না পড়েন সেজন্য সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
গ্যাস যাতে এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে না পারে তার জন্য বাতাসে স্প্রে করেন দমকলকর্মীরা। সতর্কতা হিসাবে কারখানায় বাজানো হয় সাইরেন। বার করে দেওয়া হয় সব কর্মীকে। গ্যাস লিক করার খবরে মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ