ঠিক কী বলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য?
তিনি বলেন, “ডিএ নিয়ে একটা গেল গেল রব তৈরি করা হচ্ছে। এই বিষয়ে আমরা সংবেদনশীল।” কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। রাজ্যের প্রাপ্য এক লাখ ১৮ হাজার টাকা কেন্দ্র সরকার এখনও মেটায়নি বলেও মন্তব্য করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের মন্তব্য, “যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁদের হক রয়েছে। কিন্তু, একটু তো কনসিডার করুন।” এদিকে সোমবার ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠতে পারে। এর আগে ঠিক কী মতামত রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলির?
এই প্রসঙ্গে সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল বলেন, “রাজ্য সরকার যে যুক্তি দেখিয়েছিল তার পুরোটাই হাইকোর্ট নস্যাৎ করে দিয়েছিল। আমার মনে হয় রাজ্যের SLP খারিজ করবে সুপ্রিম কোর্ট, আমরা আশাবাদী। সুপ্রিম কোর্ট যদি রাজ্য সরকারি কর্মীদের পক্ষে মত দেয় সেক্ষেত্রে আর DA নিয়ে কোনও বাধা থাকবে না। DA নিয়ে যুদ্ধের একেবারে অন্তিম লগ্নে এসে গিয়েছি আমরা।”
অন্যদিকে, ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর পক্ষ থেকে দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, “সময় নষ্টের জন্য এই মামলা করা হয়েছে। সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় যাবে বলে আমি আশাবাদী। ২৮ তারিখ যদি এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে সেক্ষেত্রে আমরা অত্যন্ত ভালো দিক দেখতে পাচ্ছি। কারণ ৩০ তারিখ কলকাতায় নির্দেশ আবমাননার মামলার শুনানির সম্ভাবনা থাকছে।” উল্লেখ্য, DA নিয়ে দিন প্রতিদিন সুর চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। শুক্রবারও বিধানসভা অধিবেশনের পর বকেয়া মহার্ঘভাতা নিয়ে রাজ্যকে তোপ দেগেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
উল্লেখ্য, এই বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল আগামী তিন মাসের মধ্যে বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে ফেলতে হবে রাজ্যকে। যদিও পরে তা পুর্নবিবেচনা করার আর্জি জানায় রাজ্য। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও কেন বকেয়া DA মেটানো হল না সেই বিষয়টি সামনে রেখে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সরকারি কর্মী সংগঠনগুলি।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।