প্রদ্যুত্ দাস: প্রতিবেশী দাদুর লালসার শিকার নাবালিকা। একদিকে গর্ভবতী মেয়েকে নিয়ে অসহায়তা, তার উপরে ওই বৃদ্ধের জামাইদের করা মামলার চাপে শেষপর্যন্ত বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন জলপাইগুড়ি মেখলিগঞ্জের এক দম্পত্তি। তড়িঘড়ি তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। নাবালিকার দাবি, বাবা-মার নামে জমি দখলের কেস দিয়েছে ওরা। তার জন্য বিষ খেয়েছে বাবা-মা।
আরও পড়ুন-মালদহে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর!
কী হয়েছিল? নাবালিকার এক আত্মীয়ের দাবি, রান্না করার নাম করে ঘরে ডাকতেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ। এভাবেই তাকে ধর্ষণ করা হতো। এরপর সেই নাবালিকা গর্ভবতী হয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল। এদিকে, ওই অভিযোগ ওঠার পর তাজ্জব হয়ে যান পাড়ার লোকজন। এনিয়ে ওই বৃদ্ধের উপরে চাপ সৃষ্টি করে পাড়ার লোকজন।
এদিকে, বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ওই নাবালিকার পরিবারকে টানা হুমকি দিতে থাকে বৃদ্ধের তিন জামাই। এমনটাই অভিযোগ নাবালিকার আত্মীয়দের। এর পাশাপাশি নাবালিকার বাবা-মার নামে জমি দখলের মামলাও করে দেওয়া হয়। এতেই চাপে পড়ে যান নাবালিকার বাবা-মা।
সোমবার সকালে নিজের বাড়িতে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই দম্পত্তি। খবর পেয়ে পাড়ার লোকজন তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করেন জলপাইগুড়ির সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। নাবালিকার এক আত্মীয় জানান, মেয়ে গর্ভবতী। এর পেছনে রয়েছে পাড়ার এক দাদু। সেই বৃদ্ধের পরিবারের তরফে নাবালিকার বাবা-মার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সেই চাপেই বিষ খেয়েছে ওরা।
অন্যদিকে, নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে মেখলিগঞ্জ থানার পুলিস। এনিয়ে মাথাভাঙা জোনের কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অমিত ভার্মা জানান, ঘটনাটি খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।